পলাশবাড়ী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধে ধস 

প্রকাশঃ ২০২০-০৭-১৫ - ১৮:০৬

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ও উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপে গাইবান্ধার নদ নদীর পানি বিপদ সীমার অতিক্রম করে প্রভাবিত হচ্ছে।পানির তীব্র স্রোতে গাইবান্ধা জেলার অন্যান্য উপজেলার ন্যায় পলাশবাড়ী উপজেলার করতোয়া ও আখিরা নদীর উপর নির্মিত বাধের কয়েকটি স্থানে বড় ছোট গর্ত ও তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছি।ফলে আতংকিত হয়ে পরেছে বাধ সংলগ্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। জরুরী ভিত্তিতে বাধ সংস্কার করা না হলে যে কোন মুহুর্ত্তে বাধ ভেঙ্গে বন্যায় প্লাবিত হতে পারে কিশোরগাড়ী হোসেনপুর ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার বেশকিছু গ্রাম। সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় কিশোরগাড়ী ইউপির জাইতরবালা ,পশ্চিম নয়ানপুর,দিঘলকান্দি, হোসেনপুর ইউপির কিসমত চেরেঙ্গা এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে ধ্বস দেখা দিয়েছে।

এলাকাবাসী জানান বিগত সময়ে, কোটি টাকা ব্যায়ে মাটির বদলে বালি দিয়ে বাধ নির্মান ,পানি আসার আগে দাঢসারা  নদী খনন কাজে গাফিলতি, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বাধের উপর দিয়ে অতিরিক্ত ট্রাক্টর চালোনোর ফলে আগে থেকেই ঝুকিপুর্ন হয়েছিল বাধের বেশ কিছু অংশ। সম্প্রতি অতি বৃষ্টি পানির তীব্র ¯্রােতে করতোয়া ও আখিরা নদীর উপর নির্মিত বাধের কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে বাধের গুরুত্বপুর্ন স্থান গুলো সংস্কার করা না হলে যে কোন মহুর্তে বাধ ধসে উপজেলার দুই ইউনিয়নসহ আশপাশেল প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। এলাকাবাসীর দাবি অতিদ্রুত এই বাধ সংস্কার করা করা দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে গাইবান্ধা – ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড .উম্মে কুলসুম স্মৃতি বিষয়টির যথাযথ গুরুত্বারোপ করে দ্রুত বাধ পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ প্রদান করেছেন বলে জানা যায়।