পশুর নদীতে ট্যুরিস্ট লঞ্চ ডুবি ও সুন্দরবনের স্থাপনাসহ গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-২১ - ১৮:৪০

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে মোংলার পশুর নদীতে একটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ ডুবে গেছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাসহ কাঁচা ঘরবাড়ী ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্লাবিত হয়েছে চিংড়ি ঘেরও। তবে ঝড়ে এখানে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে মোংলা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকতে দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সংকেত কমলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, যেহেতু সিগনাল নামিয়ে আনা হয়েছে এখন কর্তৃপক্ষের বৈঠক শেষে কখন থেকে বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাসের কাজ শুরু করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান বলেন, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া লোকজনের মাঝে বৃহস্পতিবার সকালেও খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দিনে এবং রাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নেয় ৪৮ হাজার মানুষ। ঝড় কিছুটা কমে যাওয়ায় তারা এখন নিজ বাড়ীঘরে চলে যাচ্ছেন। তবে ঝড়ে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের তালিকা পাওয়ার পর জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
বন্দরের পশুর চ্যানেলের তীরবর্তী কানাইনগর, কলাতলা, সুন্দরতলাসহ বিভিন্ন জায়গার দুর্বল ভেঁড়ী বাঁধের কয়েকটি জায়গা ধ্বসে গেছে। তবে আবহাওয়া অফিসের দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসের কথা বলা হলেও মোংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলসহ সুন্দরবনের নদ-নদীর পানির উচ্চতা অনেকটা স্বাভাবিকই ছিল। ফলে মোংলাসহ আশপাশ এলাকায় জলোচ্ছাসে প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যদিও ভেঁড়ি বাঁধ ভেঙ্গে কিংবা উপচে জোয়ারের যে পানি বাঁধের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল তা আবার ভাটার সময়ে নেমে গেছে।
পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে আম্পানের তান্ডবে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশন, লাউডোব, দুবলা ও মরাপশুর ক্যাম্পের জেটি, ঘরবাড়ীসহ অন্যান্য স্থাপনা এবং বনের গাছপালার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: বেলায়েত হোসেন। তবে এতে কোন জেলে নৌকা ডুবি, জেলে নিঁখোজ কিংবা হতাহতের খবর নেই বলেও জানান তিনি।