পাইকগাছায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ

প্রকাশঃ ২০২০-১১-২০ - ১৮:৪৩

মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা :  সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই খুলনার পাইকগাছায় উপজেলার রাস্তাঘাট, হাটবাজার এবং সড়কের মোড়ে মোড়ে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। এতে যে কোনো সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অথচ প্রশাসন এ ব্যাপারে নির্বিকার।

পৌর শহরের বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দুর্বৃত্তরা খুব সহজেই ছোট বোতল ভর্তি এসব অতি দাহ্য পদার্থ কিনে নিয়ে বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার স্বার্থে খোলা বাজারে এসব অতি দাহ্য পদার্থ বিক্রি বন্ধ করা উচিত।

সোলাদানা, লস্কর, চাঁদখালী বাজারের কয়েকজন গ্যাস সিলিন্ডার ও খুচরা অতি দাহ্য পদার্থ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইন-কানুন সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। অথচ প্রতিদিন সিলিন্ডার অকটেন, পেট্রোল বিক্রি করে থাকেন তারা।

বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রল, মবিল বিক্রির জন্য কমপক্ষে ফ্লোর পাকাসহ আধপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য। বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যথাযত কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত লাইসেন্স ছাড়া যত্রতত্র অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেল কিংবা এলপি গ্যাস বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। জড়িতদের বিরুদ্ধে অচিরেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।