পাইকগাছায় সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের মামলা দায়ের

প্রকাশঃ ২০২০-১১-২২ - ১৯:১৪

পাইকগাছা প্রতিনিধি : দেলুটির জকারহুলায় শালিসী সভায় সংঘটিত মারামারির ঘটনা পরিকল্পিত বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে না পারায় কেউ-কেউ আয়োজকদের দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় দু’পক্ষই পৃথক-পৃথক ভাবে থানায় মামলা করেছেন। এক পক্ষের বাদী নিরাপদ মন্ডল অভিযোগ করেছেন প্রতিপক্ষ পবন-সাধন মন্ডল গংরা আবারো মারপিটের হুমকি দিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি দেলুটি ইউপি’র জকারহুলায় র্্যকেট খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শুধাংশু মন্ডলের ছেলে মহাদেব ও সাধন মন্ডলের ছেলে আশীষ এর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। ঘটনাটি উভয়ের পরিবার পর্যন্ত গড়ালে দু’পক্ষই বিরোধে জড়িয়ে পড়লে তা মিমাংসার জন্য গত ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় জকারহুলার উত্তমের চায়ের দোকানের সামনে শালিশী সভা ডাকা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য বিরুপাক্ষ, সম্পাদক কুমুদ রঞ্জন রায়,উপজেলা আ’লীগের সাকেক নেতা শিক্ষক সুকৃতি মোহন সরকার,যুবলীগ নেতা গৌতম সহ বহু মানুষের উপস্থিতিতে শালিসী সভায় দু’পক্ষই তাদের বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে ‘দু’পক্ষই তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়লে শিক্ষক সুকৃতি মোহন সরকার তা নিবৃতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে হঠাৎ করে সংঘর্ষে রুপ নেয়। মারপিটে রড- হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার হয় বলে আয়োজকরা তা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নিরাপদ মন্ডলের ছেলে বৃন্দাবন মন্ডল সহ এ পক্ষের স্বপন মন্ডল, অমর মন্ডল, মৃত্যুঞ্জয় ও প্রতিপক্ষের পবন মন্ডল ও তার ছেলে আশীষ আহত হয়। এ সম্পর্কে নিরাপদ মন্ডল অভিযোগ করেন শালিশী সভার এক পর্যায়ে তর্ক-বিতর্ক দেখা দিলে পরিকল্পিত ভাবে পবন অমরের হাটুর নিচে হাতুড়ী দিয়ে আঘাত করে। এর পর সাধন,ধ্রুব-আশীষ, উজ্জ্বল সহ ১০/১২ জন লাঠি ও রড-হাতুড়ী পেটা করে আমার ছেলে বৃন্দাবন,স্বপন ও মৃত্যুঞ্জয়ের মাথায় রক্তাক্ত জখম করলে ঐ রাতে আহত ৭ জনকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করি। অন্যদিকে পবন মন্ডলের ছেলে আশীষ পায়ে জখম হলে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় দু’পক্ষই পৃথক-পৃথক ভাবে থানায় মামলা করেছেন। সভার আয়োজকদের মধ্যে সুকৃতি মোহন সরকার ও কুমুদ রঞ্জন রায় বলেন, সভার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পবন মন্ডল অমরের কথার প্রতিবাদ করে তার পায়ে হাতুড়ীর আঘাত করে এবং মুহুর্তেই সংঘর্ষে রুপ নেয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন কথা জানিয়ে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সঞ্জিত বিস্বাস জানান,তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অমর- বৃন্দাবন পক্ষের জখমের সংখ্যা বেশি।