পাইকগাছা পৌরসভার প্রধান সড়কের ধুলাবালিতে নাকাল পৌরবাসী

প্রকাশঃ ২০২১-০২-১৭ - ২১:২৬

মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা : পাইকগাছা পৌরসভার প্রধান সড়কের নির্মান অর্ধেক কাজ করে ফেলে রাখায় জন ভোগান্তি চরমে! যেন দেখার কেউ নেই! এক বছরের বেশি সময় ধরে এভাবে ফেলে রাখায় রাস্তার ধুলা-বালি ও রাস্তার খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে নাকাল পৌরবাসী। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। কাজ শেষ না হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ – ঠিকাদার একে অপারকে দুষছেন।

পাইকগাছা পৌরসভা সূত্র জানা গেছে, ২০১৯ সালে “গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় পাইকগাছা পৌরসভার বাস্তবায়নাধীন পাকেজ IUIDP-2/PAI/P-8 নাম্বারে” পাইকগাছা বাসস্টান্ড জিরো পয়েন্ট থেকে পৌর বাজার হয়ে শিববাটী ব্রিজ পর্যন্ত তিনটা প্যাকেজে ভাগ করে টেন্ডার আহবান করে। রাস্তার ধুলা-বালি থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা রাস্তায় পানি ছিটিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।

প্রথম অংশে( বাসস্টান্ড জিরো পয়েন্ট থেকে পুরাতন পরিবহণ স্টান্ড পর্যন্ত) কাজ পান পারভেজ এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার বেনজির আহম্মেদ লাল। তিনি ওয়ার্কওয়ার্ডার পাওয়ার পরপরি কাজে হাত দেন এবং কিছু দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে পৌরসভাকে বুঝিয়ে দেন।
দ্বিতীয় অংশের কান পান মেসার্স জোহা এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার মালিক জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন। (পাইকগাছা পুরাতন পরিবহণ স্টান্ড- পাইকগাছা থানা জামে মসজিদ মার্কেটের কাঁকড়া সমিতির অফিস পর্যন্ত) তিনি ওয়ার্ক ওয়ার্ডার পাওয়ার পরও কাজ করতে গড়িমসি করেন। পৌরসভার চাপে দেরিতে কাজ শুরু করলেও রাস্তার কাজ অর্ধেক করে ফেলে রাখে! রাস্তার কাজ না হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার কে বার বার কাজ শেষ করার চাপ দিলেও যেন গায়ে মাখছেন না ঠিকাদার জাহাঙ্গীর হোসেন। এ অবস্থা ফেলে রাখায় রাস্তার খোয়া উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ও প্রচন্ড ধুলার কারণে যাত্রী সাধারণ ও দোকানদারদের চরম ভোগান্তির পোহাতে হচ্ছে। ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।

রাস্তার কাজে ধীরগতি ও ফেলে রাখার বিষয়ে ঠিকাদার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফান্ডে টাকা না থাকার কারণে রাস্তার কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। অতিদ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করা হবে।

তৃতীয় অংশের কাজ পান আরেক ঠিকাদ্বারী প্রতিষ্ঠান মোশারফ আলম খান বাচ্চু। তিনি (শিববাটি ব্রিজ থেকে বাতিখালীর মনিন্দ্র রায়ের বাড়ি পর্যন্ত) কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর কাজ শুরু করলেও প্রায় দু’বছরেও কাজ শেষ করতে পারেননি। রাস্তার খোয়া উঠে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। প্রচন্ড ধুলা বালির কারণে রাস্তায় চলাচল করতে চরম বিপাকে পড়ছে জন সাধারণ। রাস্তার কাজের ধীর গতির বিষয়ে ঠিকাদার মোশারফ আলম খান বাচ্চুর ব্যবহাহৃত মুঠো ফোনে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, জনভোগান্তি কমাতে রাস্তার কাজ শেষ করার জন্য বার বার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের চাপ দেয়া হচ্ছে এমনকি তাদেরকে চিঠি দিয়ে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। অতিদ্রুত কাজ শেষ করবেন বলে পৌরসবাকে জানিয়েছেন দু’ঠিকাদার।