পাইকগাছা হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

প্রকাশঃ ২০২১-০২-১৬ - ২০:২২

মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা : পাইকগাছা উপজেলা হাসপাতালের প্রধান, মেডিকেল অফিসার ও নার্সদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, খারাপ আচরণ,ঘুষ দাবি সহ চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু ঘটনার প্রতিবাদে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করেছে ।

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত সাজ্জাদ আলী সরদারের ছেলে আবু দাউদ মঙ্গলবার সকালে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে তার লিখিত বক্তব্য বলেন, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩০) গর্ভবতী হয়ে মাতৃ স্বাস্থ্য ভাউচার কার্ড প্রাপ্ত হয়। সরকারি ভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়ার নিয়ম থাকলেও প্রসবপূর্ব তিনটি সেবা রক্ত,প্রসাব পরীক্ষা, নিরাপদ প্রসব সেবা, গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন এবং পরবর্তী কোন জটিলতা সেবা, সিজারিয়ান অপারেশন ও ঔষধ প্রদান ইত্যাদি কোন সেবাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রদান করে নাই।১৬ জানুয়ারি আমার স্ত্রীকে সকালে ডেলিভারী করাতে হাসপাতালে ভর্তি করি । উপজেলা হাসপাতালর প্রধান ডাঃ নিতীশ চন্দ্র গোলদার, মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজন কুমার,নার্স সুমাইয়া, হামিদা ও রেহেনা কোন সেবা না দিয়ে ১৭/১/২১ তারিখে দুপুরে তাদের কে অনুরোধ করে ২ হাজার টাকা দিয়ে ও আমার টাকায় ঔষধ কিনে অপারেশন করি । তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে সদ্যজাত নবজাতক শিশু শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়লে খুলনা শিশু হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় । তিনি আরো বলেন তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণ ,ঘুষ, অনিয়ম দুর্নীতির কারণে তার এ সন্তান মারা গেছে ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, কর্মকর্তা ডাঃ নিতীশ চন্দ্র গোলদার জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা অমুলক,মিথ্যা ভিত্তিহীন। তাছাড়া এ বিষয় একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্যতা যাচাই করা হবে ।
মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজন কুমার বলেন ,ঘুষ ছাড়াই দাউদের স্ত্রী ফাতেমা কে যথাযথ সুচিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নবজাতক অসুস্থ হতে পারে, এটা স্বাভাবিক, অসুস্থ হলে সংগে সংগে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা প্রেরন করা হয়েছিল । নবজাতক সেখানেই মারা গেছে । আমাদের করার কিছু নেই ।