পুলিশ কনস্টেবলের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ির মৃত্যৃ

প্রকাশঃ ২০১৯-০৬-০৮ - ১৪:০৭

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক পুলিশ কনস্টেবলের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি শেফালী অধিকারীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারী ও শ্যালক আনন্দ অধিকারী।

শনিবার ভোরে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের মাদ্রাসা পাড়ায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন সিআইডির কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য। গুরুতর আহত ফাল্গুনী ও আনন্দকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, চুয়াডাঙ্গা সিআইডিতে কর্মরত কনস্টেবল অসীম অধিকারী দীর্ঘদিন ধরে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের মাদ্রাসা পাড়াতে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তার বাড়ির সামনেই শ্বশুর সদানন্দর বাড়ি।

আহত আনন্দ অধিকারীর বরাত দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, অসীম ও ফাল্গুনী দম্পতির মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হতো। শনিবার স্বামী-স্ত্রী’র ঝগড়ার এক পর্যায়ে ফাল্গুনী অধিকারী বাবার বাড়িতে চলে আসে। তার কিছুক্ষন পরই শ্বশুর বাড়িতে আসেন অসীম। ফাল্গুনী দরজা খুলতেই তাকে উপর্যপুরী ছুরিকাঘাত করে অসীম। এ সময় ফাল্গুনীল মা শেফালী অধিকারী ও ভাই আনন্দ অধিকারী অসীমকে থামানো চেষ্টা করলে অসীমের এলোপাতাড়ি হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান শ্বাশুড়ী শেফালী অধিকারী। গুরুতর আহত হন স্ত্রী ফাল্গুনী ও শ্যালক আনন্দ।

নিহতের স্বামী সদানন্দ অধিকারী জানান, নয় বছর আগে খুলনার দৌলতপুর উপজেলার মহেশ্বরপাশা গ্রামের মৃত দুলাল ভট্টাচার্যর ছেলে অসীমের সঙ্গে বিয়ে হয় মেয়ে ফাল্গুনীর। বিয়ের পর থেকেই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে মেয়ে ফাল্গুনীকে শারীরিক নির্যাতন করতো অসীম।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কলিমুল্লাহ জানান, খবর পেয়ে ভোরেই নিহতের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। গুরুতর আহত ফাল্গুনী ও আনন্দকে কুষ্টিয়া মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি একটু জটিল মনে হচ্ছে। তবে এটি পরিষ্কার যে ওই দম্পতির মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। অসীমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।