প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা : ঝপঝবিয়া নদীতে ব্রীজ নির্মানের দাবী

প্রকাশঃ ২০১৯-১০-১৪ - ১৮:৫৮

দাকোপ,খুলনা : ঝপঝবিয়া নদীতে ব্রীজ নির্মানের দাবীতে শেষ পর্যন্ত দাকোপ-বটিয়াঘাটার মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।চরম দুর্ভোগের আর এক নাম বরনপাড়া-পানখালির ঝবঝবিয়া নদী পারাপার।যুগ যুগ ধরে দাকোপ বটিয়াঘাটার লক্ষ লক্ষ মানুষের দুর্ভোগ আর কাটলো না এই নদীতে ব্রীজ না হওয়ায়।সেই ৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দাকোপ বটিয়াঘাটার ঢেউ খেলানো রাস্তা ও পানখালি নদী পারাপারের দুরাবস্থা স্বচক্ষে দেখে দাকোপের জনসভায় ঘোষনা দিয়েছিলেন চালনা-খুলনা রাস্তায় রাস্তায় পিচ হবে আর ঝবঝবিয়া নদীতে সেতু হবে কিন্তু তারপর অনেক বছর কেটে গেল কেউ,কোন নেতা কথা ঠিক রাখতে পারেনি।নেতারাও এ নদীর ব্রীজ নিয়ে তেমন কোন দিন কখনও জোর দিয়ে কথা বলে না অথচ দাকোপ বটিয়াঘাটাসহ দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের চলাচলের প্রধান রুট এই একটাই।সবচেয়ে অবাক বিষয় ২ বছর আগে শুনেছিলাম এবং টিভি ও কাগজের পাতায়ও পড়েছিলাম পানখালির ঝবঝবিয়া নদীতে ব্রীজ নির্মানে টেন্ডার হয়েছে বিদেশী ঠিকাদাররা এটা বাস্তবায়ন করবে,আবার এক বছর পরে জানলাম এখানে ব্রীজটি হবে না, এটা জনৈক বড় নেতার তদবিরে কেটে অন্য জেলায় চলে গেছে ব্রীজটি।পানখালী বরনপাড়া ব্রীজ না হওয়ায় বর্তমানে জোয়ারের সময় হাটু কখনও কষনও কোমর পানি ভেংগে নারীপুরুষের যাতায়াত করতে হয়,দেশের বিভিন্ন জেলায় কম গুরুত্বপূর্ন স্থানে ব্রীজের পর ব্রীজ হলেও দুটি উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রানের দাবী এ নদীর ব্রীজটির জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে দুই পারের সড়কের কাজ সম্পন্ন হলেও ব্রীজ হয়েও হয় না,ফলে নেতাদের উপর সাধারন মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই।এরপরও কোন নেতার মুখে টু শব্দটি নেই এ নদীর ছোট্ট একটি ব্রীজ নির্মান নিয়ে ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকাবাসি,এলাকাবাসি বলেছেন আমাদেও কথা বলার কোন নেতা নেই তাই আমাদেও নেতা শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবী আপনাকে ভোট দিয়ে আমরা একবার এমপি নির্বাচিত করেছিলাম,সেই থেকে আমরা মনে করি আপনি আমাদের এমপি,আপনার আগেও ঘোষনা দেওয়া আছে ,আপনার আর একটু হস্তক্ষেপে দাকোপ বটিয়াঘাটার মানুষের প্রাণের দাবী পানখালী বরনপাড়ার ঝবঝবিয়া নদীতে ব্রীজটি বাস্তবায়িত হোক ।