ফুলতলায় প্রিন্স ভাটা মালিক সেলিমের বিরুদ্ধে দাদন ব্যবসায়ীদের অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৯-১২-১৯ - ১৯:১৭

তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা অফিসঃ খুলনার ফুলতলার প্রিন্স ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাষ্ট্রিস এর স্বত্তাধিকারী ও যুগ্নিপাশা গ্রামের মৃতঃ সৈয়দ আবুল মকসুদ নূরী আলম এর পুত্র ফজলুল আলম সেলিমের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে দাদন ব্যবসায়ী (ফরোয়ার্ড সেল) এর ২২ লাখ ৬৩ হাজার ৫শ’ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ টাকায় ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫শ’ পিচ ইটের বিপরীতে বর্তমান বাজার অনুযায়ী লভ্যাংশসহ মোট ৫৮ লাখ ৫০ হাজার ৫শ’ টাকা দাড়িয়েছে বলে ভুক্তভোগী ১০ দাদন ব্যবসায়ী খুলনা জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, দাদন ব্যবসায়ীরা গত ৫ / ৬ বছর ধরে ফুলতলার প্রিন্স ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাষ্ট্রিস এর স্বত্তাধিকারী ফজলুল আলম সেলিমের সাথে ইটের ফরোয়ার্ড সেল ব্যবসা করে আসছিলেন। ২ বছর ইটের লভ্যাংশ হিসেবে টাকা অথবা পুণঃরায় ইটের চুক্তি নবায়ন করে পরিশোধ করেন। কিন্তু বিগত ৩/ ৪ বছর তাদের পাওনা ইট বা লভ্যাংশসহ কোন টাকা না দিয়ে কৌশলে সেটি আত্মসাত করে নড়াইল জেলার এ্যারান্দাতে আরেকটি ইট ভাটা স্থাপন করেন। ফলে এলাকার অসহায় দাদন ব্যবসায়ীরা তাদের লগ্নিকৃত টাকা অথবা ইট না পেয়ে অর্ধাভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদের মধ্যে ফুলতলার নাউদাড়ী গ্রামের মহাসিন কবিরের ৩ লাখ টাকায় সাড়ে ৬৬ হাজার ইটের লভ্যাংশসহ মোট ৯ লাখ ৬৫ হাজার, মোঃ রুহুল আমীনের ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ৬১ হাজার ইটের লভ্যাংশসহ মোট ৮ লাখ ৭০হাজার, বেগুন বাড়িয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন শেখের ২ লাখ ৩২ হাজার টাকায় ৫৮ হাজার ইটের লভ্যাংশসহ মোট ৮ লাখ ১২হাজার, ঢাকুরিয়া গ্রামের সুফিয়া ইয়াসমিনের ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় ৭৬ হাজার ইটের লভ্যাংশসহ মোট ১০ লাখ ১১হাজার, মোশারফ হোসেন ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ১ লাখ ইটের লভ্যাংশসহ মোট ১৪ লাখ ৫০হাজার, আব্দুর রাজ্জাক শেখের ৭৬ হাজার ৫শ’ টাকায় ১৭ হাজার ইটের লভ্যাংশসহ মোট ১ লাখ ১০হাজার ৫শ টাকা, দামোদর গ্রামের মোঃ আব্দুস সাত্তারের ৩ লাখ টাকায় ৬০ হাজার ইটের লভ্যাংশসহ মোট ১০ লাখ, মোঃ নওশের আলী গাজীর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় ২৬ হাজার ইটের লভ্যাংশসহ মোট ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং রাড়ীপাড়া গ্রামের আমিনা বেগমের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ২৫ হাজার ইটের লভ্যাংশসহ মোট ৩ লাখ ১১ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। অপরদিকে ভাটা মালিক সৈয়দ ফজলুল আলম সেলিমের নিকট বিষয়টি জানার জন্য তার নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত দুটি মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন সিরিভ করেননি।