ফুলতলায় ভৈবর নদ থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগে আটক ২ঃ বাল্কহেড ও আনলোড ড্রেজার মেশিন জব্দ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৮-১৯ - ২০:০৪

তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা প্রতিনিধি: ফুলতলার ভৈরব নদ থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগে থানায় মামলা হলে পুলিশ ২ শ্রমিককে আটক করে রোববার সকালে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এ সময় পুলিশ বালু উত্তোলন ও সরবরাহ কাজে ব্যবহৃত একটি বাল্কহেড ও একটি আনলোড ড্রেজার জব্দ করে।
ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে দামোদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ কামাল হোসেন এর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে (নং ০৯) জানা যায়, দামোদর গ্রামের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিইউর হরি হেম মহামিলন মন্দির অদূরে ভৈরব নদ থেকে কতিপয় ব্যক্তি বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলন ও আনলোড ড্রেজার মেশিন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বালু সরবরাহ করে। ফলে নদী সংলগ্ন পাড় ভেঙে জমি ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে। মামলায় নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন বিষ্ণুপুর গ্রামের আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাকের পুত্র হাবিব বিশ্বাস (২১), আবু মোল্যার পুত্র শাহাবুদ্দিন মোল্যা (২৫), নড়াগাতি থানার বড়দিয়া গ্রামের কাবলে দাসের পুত্র তুষার দাস (৩৮) ও ফুলবুদনে গ্রামের মুক্তার শেখের পুত্র খবিউজ্জামান কচি (৩৫) কে আসামী করা হয়। তারা সবাই ড্রেজিং শ্রমিক। পুলিশ এজাহার ভুক্ত আসামী হাবিব বিশ্বাস ও শাহাবুদ্দিন মোল্যাকে আটক করে গতকাল জেলহাজতে প্রেরণ করে। অপরদিকে আনলোড ড্রেজার মেশিন কর্মচারী সৈয়দ বাপ্পী (৪৫) জানায়, নড়াইলের কালিয়া এলাকা থেকে তারা বাল্কহেড ভর্তি করে বালু আনলোড ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে মিলিটারী কলেজিয়েট স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বালু সরবরাহ করে। নদীগর্ভ থেকে কোন বালু উত্তোলন করা হয় না। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি বিশেষের চাহিদা পুরণ না করায় প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে হয়রানীর শিকার করা হচ্ছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই রতনুজ্জামান বলেন, এজাহার অনুযায়ী ২ আসামীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ এবং বাল্কহেড ও আনলোড ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। তবে তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল নাকি বাল্কহেড এর মাধ্যমে অন্য জায়গা থেকে বালু এনে এখান থেকে সরবরাহ করছিল সেটি তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে।