ফুলতলা ঘাট মালিক সমিতির সাংবাদিক সম্মেলনে ১৫ হাজার পরিবারের কর্মসংস্থানের ঘাট রক্ষার দাবি

প্রকাশঃ ২০২১-০১-১৮ - ২০:১৮

তাপস কুমার বিশ্বাস, ডেক্স রিপোর্টঃ ফুলতলা উপজেলা ঘাট মালিক সমিতির সভাপতি আহসানুল হক লড্ডন অভিযোগ করে বলেছেন, ভৈরব নদের কুল ঘেষে খুলনার ফুলতলার শেষসীমানা থেকে শুরু করে শিরোমনি পর্যন্ত ১৮ ব্যক্তি গড়ে তুলেছেন ৩০টি ঘাট। এ ঘাট সমূহে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে অন্ততঃ ১৫ হাজার পরিবারের রুটি-রুজি তথা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ঘাটগুলোতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এমনকি বিদেশ থেকেও বিভিন্ন মালামাল লোড এবং আনলোড হয়ে থাকে। আমদানীকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে সার, কয়লা, সিমেন্ট, পাথর, গম, ভুট্টা, চাল, বালুসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী। আবার এখানে আনলোডের পর অন্যান্য ট্রান্সপোর্ট যোগে সড়ক পথে দেশের সকল এলাকায় ঐ সকল পণ্য সামগ্রী সরবরাহ হয়ে থাকে।
সোমবার সন্ধ্যায় ফুলতলা উপজেলা ঘাট মালিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সনজিত বসু, সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সস্পাদক খন্দকার জসিম উদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, আদালতের রায়ে প্রেরিত চিঠিতে এসআর ও ১১৭ আইন/২০০৪, ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত গেজেটে দক্ষিণে ভাটপাড়া এলজিইডি ফেরীঘাট হতে উত্তরে আফরা ঘাট পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার নওয়াপাড়া নদী বন্দর ঘোষিত হয় এবং পোর্ট এ্যাক্ট ১৯০৮ ও পোর্ট রুলস ১৯৬৬ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক বন্দর পরিচালনার জন্য উপজেলা ভ‚মি অফিস ও বিআইডবিøউটিএ’র সমন্বয়ে যৌথ জরিপের মাধ্যমে ৫১.৫৫ একর নদীর তীর ভ‚মি মন্ত্রনালয়ের অনুমতিক্রমে বিআইডবিøউটিএ’র নিকট হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু আদালতের ঐ রায় পাশ কাটিয়ে নওয়াপাড়া নদী বন্দর এর সহকারী পরিচালক (বওপ) মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া নওয়াপাড়া নদী বন্দরের সীমানার বাইরে ফুলতলা উপজেলা ঘাট মালিক ব্যবসায়ীদের মালামাল উঠানামার কাজে ব্যবহৃত জেটি উচ্ছেদের জন্য চিঠি (নথি নং-১৮.১১.৪১০৪.০৭৬.৯৯.০০৮.১৫/৩৭২, তারিখ-২২/১২/২০) প্রদান করেছেন। ঐ চিঠির অনুলিপি যশোর জেলা প্রশাসক, যশোর পুলিশ সুপারসহ অভয়নগরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু উক্ত চিঠির অনুলিপি খুলনা জেলা প্রশাসক, ফুলতলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনওসহ কোন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়নি। বিষয়টি এ অঞ্চলের অধিবাসীদের কর্মসংস্থান ও ভাগ্য উন্নয়ন ব্যাহত করার গভীর ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে নওয়াপাড়া নদী বন্দর এর সহকারী পরিচালক (বওপ) মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া বলেন, আফরা থেকে শুরু করে খুলনার মজুদখালি পর্যন্ত নওয়পাড়া নদী বন্দরের সীমানা ঘোষনা করে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। নদীর সীমানা পিলার হতে নদীর ভেতরে বাল,ু মাটি, ইট ও গাছের বল্লি দিয়ে প্রায় ১শ’ ২০ বর্গফুট নদী ভরাটের কারণে নদীর নাব্যতা নষ্ট হচ্ছে। যাহা অপসারনের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুলিপি প্রদানের প্রদান করা হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, এমনি এক সময়ে রহস্যজনকভাবে এ চিঠি প্রদান করা হলো যে সময়ে বোরো মৌসুমে ধান চাষে সার, বীজ ও কীটনাশক এবং ইট ভাটার কয়লা সরবরাহে সংকট দেখা দেবে। নৌ ও সড়ক পরিবহন ব্যবসা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি এলাকাবাসীর জীবন-জীবিকা ও উন্নয়নের স্বার্থে যথাযথ নিয়ন মেনে ঘাটসমূহ সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।