বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা আলোকিত কার্যক্রমে বৃদ্ধাশ্রমে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা এবং বৃক্ষরোপন

প্রকাশঃ ২০২০-০৯-০৪ - ১৭:৪৭

খুলনা ব্যুরো : মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে সারা দেশব্যাপি বৃদ্ধাশুমে “বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা” নামে আলোকিত কার্যক্রম চালু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী।”স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছো মোদের অধিকার-আমরা নবীন নিশ্চয় হব গর্বিত উত্তরাধিকার” স্লোগানে এই কার্যক্রমের অধীনে দেশের বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে প্রবীনদের খাদ্য সামগ্রী ও চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির বাস্তবায়ন করছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের অপূর্ব চক্রবর্তী, দীপম সাহা, জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অর্ক সাহার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রমের প্রধান উপদেষ্টা পরামর্শক ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

শুক্রবার খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা আবুবক্কর মুন্সি বৃদ্ধাশ্রমে খাদ্য সহায়তা, চিকিৎসা সেবা প্রদান ও বৃক্ষরোপন করে। এখানে বৃদ্ধাশ্রমের অর্ধশতাধিক  অসহায়কে খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। পরে তারা বৃদ্ধাশ্রম ও আশপাশে ফলজ,বনজ ও ঔষধী গাছ রোপন করেন।বৃদ্ধাশ্রমের সম্প্রসারক মোঃ জাহিদুর রহমান জুয়েল মুন্সির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আব্দুস সালাম মাস্টার। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর মুন্সি বৃদ্ধাশ্রমের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ কাজী সেলিম মাস্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনা জেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মুন্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্র সংসদের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাকসুদা গাজী আইরিন, ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো: শাব্বির আহমাদ, ডাক্তার মো: মেহেদী হাসান সৈকত এবং খুলনা সিটি মেডিকেলের শিক্ষার্থী শৈশব সাহা প্রমুখ।ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রমের আওতায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর হাইশুর বৃদ্ধাশ্রম, ফরিদপুর, রাজবাড়ী এবং সাতক্ষীরায় বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসকারীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং বৃক্ষরোপন করেছেন।

এই কার্যক্রমের উদ্যোক্তারা জানান, মুজিব জন্মশতবর্ষ পালন এই করোনা সংকটকালে কার্যক্রমের মাধ্যমে যে রাঙিয়ে তোলা যায়, তারই ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রম। এই করোনাকালে করোনা সন্দেহে এক বৃদ্ধ মাকে তার ছেলেরা জঙ্গলে ফেলে যায়।এছাড়া এরকম অনেক বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।তখন থেকেই প্রবীণদের জন্য কিছু করার চিন্তা আসে। আমরা এই বৃদ্ধাশ্রম গুলোকে ভবিষ্যতে আনন্দ আশ্রমে এ পরিণত করতে চাই। আমরা দেশে আর কোন বৃদ্ধাশ্রম চাই না। প্রবীণরা যেন শেষ জীবনটা তাদের পরিবারের সাথেই কাটান। বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবার লক্ষ্য হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম গুলোর প্রবীণরা এসে আনন্দের সঙ্গে এবং নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারেন। সলের সহযোগীতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে এই বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে চাই।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাম মাস্টারসহ স্থানীয়রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার তরুনের এই উদ্যোগকে মানবসেবার অনুকরনীয় হিসেবে স্বাগত জানিয়ে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।