বটিয়াঘাটায় ভিপি সম্পত্তি ও লীজ গ্ৰহীতার নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড বিতরণ

প্রকাশঃ ২০২০-১০-০৪ - ১২:০৬

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার , বটিয়াঘাটা : জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেলাল হোসেন এর নির্দেশে বটিয়াঘাটা উপজেলার সরকারি ভিপি সম্পত্তি আয়ত্তে আনতে লীজ কেচ নবায়নের সাথে লীজ গ্ৰহীতার নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড বিতরণ করছেন সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মোঃ রাশদুজ্জামান । ইতিমধ্যে তিনি এ বিষয়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে । সূত্রে প্রকাশ, উপজেলায় ইতিপূর্বে সরকারি ভিপি সম্পত্তি খাতা কলমে থাকলেও বাস্তবে ফিল্ডে তার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না । কারণ প্লট ব্যবসায়ী নামধারী এক শ্রেনীর ভূমি দস্যু প্লটের রাস্তা ও জাল কাগজপত্র সৃষ্টি করে শ্রেনীর
পরিবর্তন পূর্বক বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । ছয়ঘরিয়া মৌজার এস এ ২৪১,২৪২ও ৩৫৫ খতিয়ানে দেবেন্দ্র নাথ মন্ডলের ৩.৭৬ একর সম্পত্তি ভূমি দস্যু চক্রাখালী গ্ৰামের প্রভাষ সরকার ও তার সহযোগী হীরা গং মিলে বালু ভরাট পূ্র্বক শ্রেনী পরিবর্তন করে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । যার লীজ কেচ নং ১০০৭/৭৪-৭৫ । ইতিমধ্যে এলাকার সচেতন মানুষের পক্ষ থেকে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটি সহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে । জুলাই মাস থেকে সরকারি ভিপি লীজ কেচ নবায়ন কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস । এ উপজেলায় মোট ৪০৩ টি ভিপি লীজ কেচ রয়েছে । এর মধ্যে প্রায় ২৫ টি ভিপি লীজ কেচ নবায়ন পূর্বক লীজ কেচ গ্ৰহীতাদের নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড বিতরণ করা হয়েছে । তবে কিছু ভিসি লীজ কেচ ভূমি দস্যুরা আদালতে বিভিন্নভাবে ধরনের কৃত্রিম মামলা সৃষ্টি করে লীজ কেচ নবায়নে
প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে চলেছে । যে কারণে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । ইতিমধ্যে ভূমি দস্যুদের হাত থেকে সরকারি ভিপি সম্পত্তি রক্ষা করতে জেলা প্রশাসক দুটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস । মে কারণে বর্তমানে ভূমি দস্যুদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে । এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ রাশেদুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেলাল হোসেনের নির্দেশে ও নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মোঃ নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় সরকারি ভিপি সম্পত্তি দখলে নিতে জেলা প্রশাসক ও লীজ কেচ নবায়ন গ্ৰহিতার নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড বিতরণ করা হচ্ছে । এছাড়া সরকারি ভিপি সম্পত্তি আওয়ত্ত্বে নিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তা অব্যহত রয়েছে । তাছাড়া ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যহত রয়েছে । তিনি সকলের সহযোগিতা ও কামনা করেন ।