বটিয়াঘাটায় ইন্জিনিয়ারের গাফিলতিতে ভবন নির্মাণে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার 

প্রকাশঃ ২০২০-০১-২১ - ১৩:০১
মহিদুল ইসলাম (শাহীন), বটিয়াঘাটা : সরকার সহজ পন্থায় পাকাঘর বাড়ি নির্মানের কথা বিবেচনা করে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সমূহের আওতা বহির্ভুত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় ইমারত স্থাপনার নকশা অনুমোদন এবং ভবনের গুনগত মান নিশ্চিত করনের জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ থাকা সত্বেও খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় এই নির্দেশ যথাযথভাবে না মানার অভিযোগ উঠেছে। আর এজন্য জনগন দায়ী করছে উপজেলা ইন্জিনিয়ার অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্তদের। অভিযোগের ভিত্তিতে জানাগেছে, গত ১০ জুলাই,২০১৭ এই বিভাগের ইপ- ১ অধি শাখার ৫৪২ স্মারকে  প্রেরিত বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ গত ৩১ আগষ্ট ২০১৭ এই পত্র গ্রহণ করেন। পত্র গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র কমিটির দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে ৩৯টি ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বটিয়াঘাটা উপজেলা জলমা,বটিয়াঘাটাসদর,গঙ্গারামপুর,সুরখালী, বালিয়ারডাঙ্গা,আমিরপুর, ভান্ডারকোট এই ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। খুলনা মহানগর সংলগ্ন জলমা ইউনিয়নের কৈয়াবাজার,জিরোপয়েন্ট,হরিণটানা,মহাম্মাদনগর, গল্লামারী বটিয়াঘাটা সড়কের দু পাশে,বাইনতলা,বটিয়াঘাটা,ভান্ডারকোট,গঙ্গারামপুর,সুরখালী,বালিয়াডাঙা এই উপজেলার আওতাধীন। এই সব ইউনিয়নে হাজার হাজার নতুন বহুতল বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মান করছেন কিছু অসাধু প্লট ব্যাবসায়ি ও ভুসিদশ্যু প্রকৃতির কিছু লোকজন, শুরু তাই নয় রাস্তার পাশে সরকারি জায়গা দখল করেও অনেকে পাকা বাড়ি এবং মার্কেট করে লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করছে।
নিয়ম অনুযায়ী পাকা ভবন তৈরি করতে গেলে সয়েল টেষ্ট, প্লান প্রণয়নসহ অন্যান্য আনুসঙ্গিক বিষয় দেখে তবেই বাড়ি করার অনুমোদন দেওয়ার কথা । সেই সঙ্গে রাজস্ব খাতে নগদ ৫ হাজার টাকাও জমা দেবার কথা । কিন্তু এসব বাড়ি নির্মাণে উপজেলা ইন্জিনিয়র অফিসের গাফিলতির জন্য
সরকারী খাতে কোন অর্থই জমা পড়ছে না। যে কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন । তা সত্বেও প্রকৌশল দপ্তরের পক্ষ থেকে জনগণকে ভবন নির্মাণ সম্পর্কে নিয়ম কানুন অবহিত করার জন্য কোন পদক্ষেপ,এমন কি কোন মাইকিং ও করা হয় নি ।  এ সম্পর্কে সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জলমা ইউনিয়নের কৈয়া বাজার থেকে হরিণটানা ও লবনচরা এলাকা সহ অন্যান্য ইউনিয়ন প্রকৌশল দপ্তরের আওতাভূক্ত আমরা এটা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। এব্যাপারে উপজেলা ইন্জিনিয়ার প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি উপজেলা সম্পর্কে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জনগণ ।