বটিয়াঘাটায় ক্ষতিপূরন না পেয়ে কৃষি জমির মালিকের মানবেতর জীবন-যাপন

প্রকাশঃ ২০১৮-০৮-১২ - ১৩:০৭

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা : বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিটেড(পিজিসিবি) এর ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কৃষির ক্ষতিপূরন না পেয়ে ভূক্তভোগীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
সূত্রে প্রকাশ, বাগেরহাট জেলার অন্তর্গত রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা রাজনগর ইউনিয়নে জাতীয় পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিটেড(পিজিসিবি) এর সার্বিক তত্ত্বাবধয়নে খুলনা(দক্ষিণ) বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হতে প্রস্তাবিত রামপাল ১৩২০ মেগওয়াড বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য খুলনা-রামপাল (মোংলা)২৩০ কেভি ফোর সাকির্ট সঞ্চলন লাইন নির্মিত হচ্ছে। ১৯১০সালে বিদ্যুৎ লাইনের ৫১ধারা এবং ১৮৮৫ সালের টেলিগ্রাফ আইনে ১০-১৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিটেড(পিজিসিবি) এ ধরনের বিদ্যুৎ চঞ্চলন লাইন নির্মান করতে পারে। সরকার অনুমোদিত হারে বর্নিত ক্ষয়ক্ষতির বিপরীতে মালিকগনকে ক্ষতিপূরন দিতে বাধ্য থাকবে। উক্ত কোম্পানী নির্মিত এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময়ের কারনে এ অঞ্চলে কৃষি জমিতে টাওয়ার নির্মান কাজ চলমান আছে। টাওয়ার নির্মানের কারনে কৃষি জমিতে প্রায় দেড় বছর যাবত কোনো প্রকার ফসলাধি রোপন করা যাচ্ছে না। জলমা এলাকায় কৃষি জমির মালিক ও কৃষক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, রনোজিৎ টিকাদার, প্রদীপ টিকাদার, উত্তম টিকাদার, সমীরন গোলদার, শিশুবর রায়, অমর রায়, বিকিরন গোলদার সহ একাধিক ভূক্তভোগীরা জানান, জলমা মৌজায় দেড় বছর যাবত প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে বিদ্যুতের টাওয়ারের মালামাল বহনের কারনে বড় বড় খালের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত ৫০ বিঘা জমি চাষাবাদ করতে পারছে না। যার ১বিঘা জমিতে ২০মন মোটা ধান উৎপাদন হতো। প্রতিমন ধানের মূল্য ১৫শত টাকা হিসাবে ৫০ বিঘায় মোট ১হাজার মন ধারতে পারবে বলে জানান। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫লক্ষ টাকা। এয়াড়া বিদ্যুৎ টাওয়ার নির্মানের সামগ্রী বালু উত্তোলন ও বহন করে জলমা কঢ়ুবুনিয়া মহাশশ্মানের শবদেহ যাতায়তের ইটের রাস্তাটিও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রামপাল (পিজিসিবি)এর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চক্রাখালী প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সবুজ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী মোঃ মঞ্জু কৃষকদের উক্ত ৫০ বিঘা জমি ট্রাকটর দিয়ে চাষ ও নগদ অর্থ দেওয়ার কথা থাকলেও যে স্বর্তপূরন করছে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে ২০১৭ সালে বছরের প্রথম দিকে শুকনো মৌসুমে কৃষির ক্ষতিপূরন যথসামান্য দিলেও ২০১৮ সালের কৃষির কোনো ক্ষতিপূরন আজও দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপরে ভূক্তভোগী এলাকার জমির মালিক ও কৃষকরা কৃষি ক্ষতিপূরন পেতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রী সহ প্রধানমন্ত্রীর আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছে।