বটিয়াঘাটায় দখলবাজদের বিরুদ্ধে হরিনটানা থানায় মামলা না নেওয়ার অবিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-২১ - ১৮:৩৫

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটাঃ বটিয়াঘাটা উপজেলার ২নং রাজবাঁধ মৌজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমি দখলবাজদের বিরুদ্ধে হরিনটানা থানা অফিসার ইনচার্জকে খুলনা পওর শাখা-১ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামলা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করলে ও আজ পর্যন্ত মামলা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। সূত্রে প্রকাশ উপজেলা রাজবাঁধ মৌজায় পান্নি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত এস, এ ১৮৮ নং দাগের জমি আঃ আহাদ বক্সের পুত্র মোঃ ইউসুফ,মোঃ হারুন সিকদারের পুত্র মোঃ রেজাউল সিকদার ও মোঃ ইয়াদ আলীরপুত্র মোঃ কাশেম মিলে জোরপূর্বক দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করে চলেছে। খুলনা পাওর শাখা-১ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুল ইসলাম গত ১ জুলাই ২৬০ নং স্বারকে (কৈয়াবাজার জেলের মোড় নামক স্থানে) পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থায়ী পাকা দোকান-ঘর নির্মাণ করছে। উক্ত স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ এবং অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করে। পরবর্তীতে ২৬০ নং স্বারকে থানায় এফ,আই,আর দাখিল করার নিদের্শ দিলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছেন। যা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নহে। উল্লেখ্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১১৬/৬২-৬৩ নং এল এ কেসের মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত কৈয়া বাজার সংলগ্ন মোড়ে ৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। পান্নি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা পওর শাখা-১ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম সরকারী সম্পত্তি রক্ষার্থে হরিণটানা থানাকে বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার নিদের্শ প্রদান করলেও কেন যেন অদৃশ্য কারনে নিরব। এছাড়া উক্ত জমি ডিসিআর প্রাপ্ত মোঃ আঃ আজিজ শেখ বাদি হয়ে আদালতের ১৮২/১৯ নং মামলা এবং হরিনটানা থানা ৯১/১৯ নং মামলায় মোঃ ইউসুফ হোসেন ও রেজাউল সিকদারকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছে। অন্যদিকে উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের গাওঘরা বাজার সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর অধিগ্রহণ কৃত জমি অবৈধ দখলদার শহিদুল ইসলাম, জোর পূর্বক দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ মুন্নাফ বিশ্বাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ জিয়াউর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার (কানুনগো) মাহমুদুল্লাহকে সরেজমিনে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে এবং পান্নি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তদের ইমারত ভেঙ্গে ফেলার জন্য অনুরোধ করেন। অন্যদিকে সরকারী জায়গা দখলবাজ শহিদুল গাজী ও তালিকাভুক্ত যুদ্ধপরাধী তার বড় ভাই মিলে সরকারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃ জায়গা ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করিয়ে নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দপ্তরকে ম্যানেজ করে পাকা ইমারত নির্মাণ করছে। এলাকাবাসী দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।