বটিয়াঘাটায় বোরো ধানের আবাদ শুরু

প্রকাশঃ ২০২০-০২-২৩ - ১৮:২৭

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা থেকেঃ বটিয়াঘাটায় আমন ধানের লোকসানের বোঝা মাথায় চাপিয়ে কৃষক কৃষানীরা শুরু করেছে বোরো ধানের চাষাবাদ। কৃষকদের আমন ধান জলাবদ্ধতা, কারেন্ট পোকা, ঘূর্ণীঝড় বুলবুল সহ বিভিন্ন কারণে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বটিয়াঘাটা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের শত শত একর জমির। এই অভাবনীয় ক্ষতির কারণে কৃষক কৃষানীদের ব্যাপক লোকসান হওয়ায় তাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে কৃষক কৃষানীরা তাদের ভেঙ্গে যাওয়া মেরুদন্ড সোজা করার পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে নতুন উদ্যোমে ধার দেনা করে পূণরায় বোর ধানের ব্যপক চাষাবাদের প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যে চাষাবাদ ও রোপন কার্য অনেকেই সম্পন্ন করেছেন। বটিয়াঘাটা উপজেলাটি শিল্প ও মহানগরী খুলনার পাদদেশ ঘেষে এবং কাজিবাছা, রূপসা, ভদ্রা, শৈলমারী, সালতা, পশুর, ঝপঝপিয়া, নালুয়া, মাঙ্গা, ময়ুর নদী সহ অসংখ্য প্রমত্তা নদী দ্বারা বেষ্টিত বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা, বটিয়াঘাটা, গঙ্গারামপুর, সুরখালী, ভান্ডারকোট, বালিয়াডাঙ্গা ও আমিরপুর ইউনিয়নের মোট ১ শত ২৭ টি গ্রাম এর মধ্যে মিষ্টি ও সুপেও পানির এলাকা বা অধিকাংশ গ্রামের চলতি বরো মৌসূমে আমনের লোকসান পুষিয়ে নিতে কৃষক কৃষানীরা বোরো ধান চাষাবাদ ও রোপনে কর্মব্যাস্ত সময় অতিবাহিত করছে। প্রচন্ড শীত বা ঠান্ডা এবং গরম, রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাত দিন ধান উৎপাদনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমন ধান চাষাবাদ ও উৎপাদন ব্যায়ের চেয়ে বোর ধানের ক্ষেত্রে অনেক বেশি শ্রম ও ব্যয় অনেক বেশি হয়ে থাকে। উপজেলার বোরো চাষী কৃষকরা জানায় লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। যদিও এর জমি চাষ, রোপন , পানি সেচ, ঔষধ ব্যবহার, ধান কাটা, মাড়াই, আগাছা পরিস্কার সহ বিভন্ন চাষাবাদ কার্যক্রমে কৃষকদের অনেক খরচ হয়ে থাকে। তবে উপযুক্ত মূল্য পেলে বর্গাচাষীদেরও কিছু লাভ হয়ে থাকে। অন্যথায় লোকসান গুনতে হয়। বার বার লোকসান গুনতে হলে এক পর্যায়ে উৎপাদনের স্পৃহা কৃষকদের হারিয়ে যায়। জমির মালিকদের চেয়ে বর্গা চাষীদের লভ্যাংশ কম হয়ে থাকে। হেক্টর প্রতি ১ শত ১৩ মন এর মতো বোরো ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আমনের ক্ষতি পূরণ করার জন্য আমরা কৃষি অধিদপ্তর বোরো ধান চাষাবাদের জন্য ৪ হাজার ৫ শত হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়েছি। লক্ষমাত্রা সফল হলে এ উপজেলা থেকে ২০ হাজার ২ শত ৫০ মেট্রিকটন বোরো ধান উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা বয়েছে। এছাড়া কৃষকদের ঘূর্ণীঝড় বুলবুল ও আমন ফসলের ক্ষতি কৃষকদের পুষিয়ে নিতে আমরা বিনা মূল্যে সার, বীজ, নগদ অর্থ ও গ্রুপ ভিত্তিক নিয়মিত কৃষক-কৃষানী প্রশিক্ষণ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি সহ নানা প্রনোদনা কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করছি। আশা করি কাংখিত সু-ফল উপজেলার কৃষক-কৃষানীরা পাবে।