বটিয়াঘাটায় সুদখোরদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে গরীব অসহায় মানুষ

প্রকাশঃ ২০২০-০৮-০৭ - ১৯:৫৮

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা, খুলনা : বটিয়াঘাটায় এনজিওর পাশাপাশি সুদখোর দাদন ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ে গ্রামের গরীব অসহায় মানুষ সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে। সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক শ্রেনীর সুদ ব্যবসায়ী সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রমরমা সুদের ব্যবসা করে অসহায় সাধারন মানুষকে সর্বশান্ত করে দিচ্ছে। যেখানে দেশের সর্বোচ্চ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক সহ সকল ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে ১লক্ষ টাকায় সর্বোচ্চ সুদের হার ৭শত থেকে ৮শত টাকা। সেখানে গ্রামের সুদ ব্যবসায়ীরা অসহায় মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদে ফেলে ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ও ফাঁকা ব্যাংক চেক নিয়ে প্রতিলক্ষ টাকায় ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে সুদ আদায় করছে। আর সুদের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে উক্ত ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ও ফাঁকা ব্যাংক চেক দিয়ে আদালতে মামলা ও পুলিশ দিয়ে অমানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে। অনেক ভূক্তভোগী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেকে আবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে জানা যায়। জলমা ইউনিয়নের অনেক সুদ ব্যবসায়ী সুদের টাকার বিনিময়ে ভূক্তভোগীর বসত বাড়ীসহ জমিজমা লিখে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে আমীরপুর ইউনিয়নের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভূক্তভোগী এ প্রতিবেদকে জানান, নারানখালী গ্রামের মৃতঃ ফজর আলীর ছেলে ইমরান শেখ দীর্ঘ দিন ধরে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিলক্ষ টাকায় ১০ হাজার টাকা করে সুদ আদায় করে আসছে। ইমরানের সুদের ফাঁদে পড়ে বহু গরীব অসহায় মানুষ সর্বশান্ত হয়ে গেছে। সুদের টাকা দিতে না পারায় অনেক ভূক্তভোগীর সুদের পরিবর্তে স্ত্রীকে তার হাতে তুলে দিতে হয়। বর্তমানে এ ভাবে ইমরানের চার জন স্ত্রী হয়েছে বলেও জানায়। সবমিলিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অসহায় মানুষদের সুদের ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলার অসহায় মানুষ সুদখোরদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।