বটিয়াঘাটায় সুরখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-১৮ - ১৯:০৭

ইন্দ্রজিত টিকাদার, বটিয়াঘাটাঃ বটিয়াঘাটা উপজেলায় সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ হাদী সরদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে ইউপি সদস্যরা লিখিত ভাবে দাখিল করেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, উপজেলা সুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হাদী সরদার বিভিন্ন সময় পরিষদের সভায় সদস্য/সদস্যাগনের হাজিরা খাতায় সভা চলাকালীন স্বাক্ষর নিয়ে ইচ্ছা মত রেজুলেশন লিখে সকল সিদ্ধান্ত একাই গ্রহন করে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি মাধ্যমে সরকারী টাকা অত্মসাৎ করে চলেছেন। যার দায় ভোগ করছে সকল ইউপি সদস্যগন । উক্ত ইউনিয়নের ইউপি সদস্য যথাক্রমে বি,এম,মাসুদ রানা, মোঃ জাহিদুর রহমান শেখ ও স্বপ্না রানী রায় লিখিত অভিযোগে আরো বলেন, ইউনিয়নের ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের সুন্দর মহল খেয়াঘাট পাকা করেন ২ লক্ষ, ইউনিয়ন পরিষদে একটি প্রিন্টার মেশিন ক্রয়ের ২০ হাজার, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সুখদাড়ায় ইটের সোলিং নির্মানের ১ লক্ষ, গাওঘরা শুকুর শেখের বাড়ি হতে ফারুক সাহেবের বাড়ির ইটের সোলিং ৩ লক্ষ টাকা, সুখদাড়া পূর্বপাড়ায় ইটের সোলিং ১ লক্ষ, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের এল,জি এসপি প্রকল্প ভগবতীপুর শ্রী শ্রী হরিচাঁদ মন্দিরের সামনে পুট ব্রিজ নির্মান ৭ লক্ষ, সুন্দর মহল খেয়াঘাট পাকা করন ও পিচের রাস্তা পর্যন্ত ইটের সোলিং সংস্কার ৬ লক্ষ, গাওঘরা গ্রামের চাঁন্দারডাঙ্গা হাবিবুর শেখের বাড়ি হতে রকিবের বাড়ি পর্যন্ত ইটের সোলিং ৩ লক্ষ ৯০ হাজার, ইউপি অফিস ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ক্ষমতা বৃদ্ধি, জন সুরক্ষা ও পারস্পারিক শিক্ষক কার্যক্রম ২৫ হাজার, সুরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠের মাটি ভরাট ২ লক্ষ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কাবিখা প্রকল্পের চাউল/গম ১০ টন যাহা ইউনিয়ন পরিষদের ১% হারে নেওয়া সম্পন্ন করা কাজে কাবিখা প্রকল্পের সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছে। অপর দিকে উপরোক্ত অর্থবছরের এল জি এস পির সমুদয় বরাদ্দকৃত টাকা তাহার বেশী ভাগ টাকা মহিলা মেম্বর সাহারা রফিক ও চেয়ারম্যান যোগসাজসে ফুলটুসি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ ভাবে এ অর্থ উত্তোলন করে। এছাড়া বাইচের নৌকা ক্রয়ের নাম করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে ট্রেড লাইসেন্স,ওয়ারেশ কাম, জন্ম নিবন্ধন, বিভিন্ন ভাতার কার্ড সহ বিভিন্ন কাজে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা । অভিযোগের কিছু প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং বাকি কাজ গুলি চলমান রহিয়াছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ জিয়াউর রহমান জানান, আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।