বটিয়াঘাটা উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-১৪ - ১৮:০৪

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটাঃ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবে রূপদান দিতে এবং বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বটিয়াঘাটা উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রায় ৪৬,৬৯,১৯,৯৮৩.৬৩ (ছেচল্লিশ কোটি ঊনসত্তর লক্ষ ঊনিশ হাজার আট শত তিরাশি টাকা তেষট্টি পয়সা) টাকা রাজস্ব আদায় করে বাংলাদেশের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে রেকর্ড গড়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। উক্ত রাজস্ব আদায় করতে দলিল রেজিষ্ট্রি হয়েয়ে প্রায় ১০,৫৫৪টি ( দশ হাজার পাঁচ শত চুয়ান্নটি)। যা গত ১৭-১৮ অর্থ বছরের থেকে প্রায় দ্বিগুন। উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহ গত ১৯/০৭/২০১৭ তারিখে যোগদান করার পর থেকে তিনি সরকার ও সাধারন মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে এ রাজস্ব আদায় করতে স্বক্ষম হয়েছে। এতে একদিকে যেমন সরকার কোটি কোটি রাজস্ব পেয়েছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষও উপকৃত হয়েছে। সুব্রত কুমার সিংহ ক্রেতা বিক্রেতা ও সরকারের স্বার্থ রক্ষা করে সহজ শর্তে দলিল রেজিষ্ট্রি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ ও সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। তিনি যোগদান করার পর থেকে সহজ শর্তে দলিল রেজিষ্ট্রি করায় সাধারণ মানুষ জমি ক্রয়-বিক্রয় করে পরিবারে চিকিৎসা, বিবাহ, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া সহ যাবতীয় কাজ করতে পারছেন। দু-একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়া তিনি সর্বক্ষন ভূমির মালিক ও সরকারের স্বার্থ রক্ষা করে দলিল রেজিষ্ট্রি করে। যার কারনে সরকারের এ রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ ব্যাপারে সুব্রত কুমার সিংহ বলেন সরকারের খাস ও ভিপি জমি সহ সরকারের সংশিষ্ট সকল স্বার্থ রক্ষা করে দলিল করা হয় তিনি জানান। কিন্তু অনেক সময় ভিড় ও তথ্য গোপনের কারনে অথবা অজানা অবস্থায় দু-একটি ভুল ত্রুটি হতে পারে। কারন মানুষ মাত্রই ভুল হয়। যদিও কোন অজানা কারনে ভুল হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে দাতা ও গ্রহীতাদের ডেকে এনে সংশোধন করে দেওয়া হয় বলেও তিনি জানান। উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার একজন সৎ, দক্ষ এবং পরিশ্রমি কর্মকর্তা হিসাবে সংশিষ্ট দপ্তর সহ সকলের কাছে পরিচিত। এ উপজেলায় সপ্তাহে ৩ দিন অথাৎ সোম মঙ্গল ও বুধবার দলিল রেজিষ্ট্রি হয়। তিনি সকাল থেকে অধিক রাত্র পর্যন্ত দলিল রেজিষ্ট্রি করে অধিক পরিশ্রমের কারনে এ রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। এ ব্যাপারে সাব-রেজিষ্ট্রিার সুব্রত কুমার সিংহ এ প্রতিবেদক কে বলেন আমি জেলা রেজিষ্ট্রার বীর জ্যোতি চাকমা সহ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে সরকারের একজন কর্মচারী হিসাবে রাজস্ব আদায় অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছি। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে সেবার মান উন্নয়ন করেছি এবং আমার দপ্তরে অফিস সহকারী শ্যামল কুমার বিশ্বাস, মোহরার এস,এস মোক্তার হোসেন, এস,এম ফরিদুজ্জামান সহ দলিল লেখক বৃন্দ ও নলক নবীশ সকল সদস্য বৃন্দের সর্বিক সহযোগতিায় এ রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে।