বদলা নিতেই পরিকল্পিত ভাবেই হামলা করা হয়েছিল সাংবাদিক আশরাফুলের উপর!

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-১১ - ১৯:২৮

গাইবান্ধা  প্রতিনিধি : গত ৫ মে  উপজেলা প্রভাবশালী পদ মর্যাদার একজন ব্যক্তি টিসিবি ২০ লিটার সোয়াবিন তেল ক্রয় করার জন্য ডিলার আতোয়ার রহমানের নিকট যায়।এসময় দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বিনামুল্যে ওই সোয়াবিন তেল দিতে অস্বীকৃতি জানায়।এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।এসময় ঐ নেতা ডিলার আতোয়ারের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এসময় তাদের পছন্দের এক সাংবাদিককে দিয়ে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনা হয়।এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন অভিযোগ করা হয় ডিলারের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি ইউএনও কে অবগত পুর্বক টিসিবি পন্য বিতরন স্থলে যায়।এসময় আরো কয়েক সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রথমে সাংবাদিকরা স্থানীয় এমপি মহোদয়কে অবগত করে।এমপি মহোদয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ইউএনও এবং ওসি কে নির্দেশ প্রদান করেন।প্রশাসনের অপেক্ষায় সাংবাদিকরা প্রায় দেড় ঘন্টা ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করে। দের ঘন্টায় পলাশবাড়ীর তিনজন রাজনীতিবিদ ইউএনও এবং ওসি ডিলারকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দুটো যে কোন ক্লু বের করে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করতে হবে, নয়তো এদের শায়েস্তা করতে হবে। কেন শায়েস্তা করতে হবে সাংবাদিক আশরাফুল কে?? কারন বিগত সময়ে এই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদে ৭১ দিন কাফনের কাপর পরে প্রতিবাদ করেছিল যা দেশ ব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। ঘটনার দেড়ঘন্টা পর( ইউএনও) পদ অধিকার বলে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মেজবাউল হোসেন, অফিসার ইনচার্জ মাসুদার রহমান মাসুদ ৫ জন এসআই,কয়েকজন কনেষ্টবল ও জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের মনোনীত ডিএসবি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় ইউএনও সাংবাদিকদের অভিযোগ না শুনে ডিলারের পক্ষ অবলম্বন করে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজ বলে আখ্যায়িত করে। ইউএনওর সমর্থন পেয়ে ডিলারের লোকজন সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম ও মাসুদ রানা কে বেদম মারপিট করে।এসময় সাংবাদিকরা পুলিশের সহযোগিতা চাইলে ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট অনুমতি না দেওয়ায় পুলিশ নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে। ঘটনাস্থলে আহত হয় দুই সাংবাদিক, ইউএনওর সামনেই ডিলারের লোকজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে সব সাংবাদিকদের পেটানোর নির্দেশ দেয়।পাশাপাশি ইউএনও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা গ্রহনের জন্য ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে আহত সাংবাদিক আশরাফুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এ ব্যাপারে থানায় এজাহার দাখিল করা হলে ও প্রথমে পুলিশ মামলা নিতে গরিমসি করে । উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হবে বলে হুমকি ধামকি দেয়। সাংবাদিকরা বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,সহকারী পুলিশ সুপার,এনএসআই,ডিজি এফআইসহ গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করলে অবশেষে পুলিশ ডিলার আতোয়ার যুবদল নেতা মুরাদ,মামুনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে। এদিকে ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলে ও প্রশাসন ডিলার আতোয়ারসহ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি। (বাকিটা ইতিহাস) এভাবে নিজ ফেসবুক আইডিতে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রতন তুলে ধরেছেন। ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব,সমাজকর্মীরা,গণমাধ্যমকর্মীরা দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এবছর গত ৫ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সংগ্রহকালে দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার ষ্ট্যাফ রিপোটার গাইবান্ধা ও কোয়ালিটি টিভির গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি  সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের উপর টিসিবি ডিলার আতোয়ার রহমান গং পরিকল্পিতভাবে হামলা করেন। এঘটনায় পলাশবাড়ী থানা এজাহার দায়ে করেন সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম। তার দায়েরকৃত এজাহারের ভিক্তিতে হামলাকারী টিসিবি ডিলার গং এর নামে মামলা দায়ের হয়েছে মামলা নং- পলাশবাড়ী থানা ১২/১০৫ তারিখ ৯-৫-২০২০ইং।