বরগুনা : বরগুনার স্কুল-কলেজে প্রায় অবাধে মাদক সেবন। মাদক বিকিকিনির রাজত্ব তৈরি হয়েছে যেন। বিশেষত রিফাত হত্যার পর এসব বিষয় জনস্মুখে আসছে বেশি। হত্যাকান্ডের মূল হোতা নিহত নয়নের জিরো জিরো সেভেন গ্রুপের মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বেশির ভাগই স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থী।
রিফাত হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আরিয়ান শ্রাবন এবছর রবগুনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও গ্রেপ্তার রাতুল সিকদারও একই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়েন।
বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকবছর ধরে পরিত্যক্ত প্রধান শিক্ষকের বাসভবনেই চলে ইয়াবা সেবন। ছাত্রাবাসেও একই দৃশ্য। আর ছাত্রদের অনেকেই বিদ্যালয় কম্পাউন্ডের ভেতরেই মাদক সেবন করে।
বড় বড় নেতা এবং আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর সদস্যও জড়িত এসব মাদক সেবন ও বাণিজ্যের সাথে, এমনটাই জানা গেল অভিভাবক ও স্থানীয়দের কাছ থেকে।
এখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন ও ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বরগুনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, আমারটা বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা শিক্ষকদের নিয়ে একটি কমিটি করেছি। তারা শিক্ষার্থীদের আচার-আচরণ ও মাদকের কোন গ্যাং আছে কি না সেটা দেখছে। এক সপ্তাহ পর আমরা তাদের কাছ থেকে এর ফলাফল নিবো।
যথাযথ পাঠদান ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অভাব এবং মোবাইল ফোনের যথেচ্ছ ব্যাবহার এবং নৈতিক অবক্ষয়কেই দায়ী করছে সচেতন মহল।
বরগুনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাহবুব চৌধুরি বলেন, আগে একজন মানুষের সঙ্গে বা ছোটদের সঙ্গে বড়দের মধ্যে যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এখন আর তা নেই। আগে বয়সে ছোটরা বড়দের দেখলে সম্মান বা সালাম দিতো,কিন্তু এখন দেখা যায় তারা বসে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহারেই ব্যস্ত থাকে।
আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর তদারকি এবং অভিভাবক-সন্তানের বন্ধুসুলভ আচরণ ই পারে কিশোরদের মানসিক উন্নয়ণ ঘটাতে।