বাংলাদেশে আরও ৫ জন করোনায় আক্রান্ত

প্রকাশঃ ২০২০-০৪-০৩ - ১৩:৩২

ঢাকা অফিস : বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫ জন। এখন পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ জন।

তবে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে, এখন পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা ৬ জনই থাকলো।

শুক্রবার (৩রা এপ্রিল) দুপুরে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় তিনি বলেন, দেশে যথেষ্ট পিপিই আছে। ইতিমধ্যেই সব হাসপাতালে পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এখন ১৪-১৫টি জায়গায় করোনার পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার পর জানা যাবে কতজন সামাজিকভাবে সংক্রমিত হচ্ছে।

এরপরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সন্দেহে ৫১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আইইডিসিআরের এর বাইরে ৩ জন শনাক্ত হয়েছেন করোনায়। আক্রান্ত ২২ জন হাসপাতালে ও ৭ জন বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৪ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। আর, ১০ জন রোগীকে আইসোলেশন থেকে মুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৮২ জন। তাছাড়া, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২৪৮ জন। বর্তমানে ১৬ হাজার ৪৫০ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন।

আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, সারা দেশে এপ্রিলের মধ্যে মোট ২৮টি পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত করা হবে। এখন পর্যন্ত ঢাকায় ৯টি কেন্দ্র ও বাইরে ৫টি পিসিআর কেন্দ্র করোনা শনাক্তের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত।

গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। প্রথমে ২৬শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত করোনার বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। অফিস-আদালত থেকে শুরু করে গণপরিবহন সবই বন্ধ রয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতালসহ জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে রয়েছে। আর, সামাজিক দূরত্ব ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিকে, বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৩ হাজার ২৪১ জন ব্যক্তি। সারা বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ১৬ হাজার ৫২১ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ১৩ হাজার ১৪১ জন।

বর্তমানে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ১৩৯ জন। যাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৬৪ জন।