বাংলাদেশে করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু

প্রকাশঃ ২০২০-০৩-২৫ - ১৩:৪০
ঢাকা অফিস : গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জনে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি।

করোনাভাইরাস নিয়ে বৃধবার (২৫শে মার্চ) দুপুর ১২টায় মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানান আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি এসময় জানান, ‘মৃত ব্যক্তির বয়স ৬৫। তিনি একজন পুরুষ। তিনি বিদেশ ফেরত একজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ জন। এছাড়া, বর্তমানে ৪৭ জন আইসোলেশনে রয়েছেন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও দুজন। সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন সাতজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি কিংবা সে ধরনের কোনও ঘটনা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা কম। করোনা সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির যে নম্বরগুলো ব্যবহার হতো সেগুলো আইইডিসিআর এর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা ঢাকায় মারা যাচ্ছেন তাদের মরদেহ দাফনে বাধা দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে এলাকাবাসীদের সহানুভূতিশীল হতে আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারি ছুটির ১০ দিন সবাই ঘরে থাকুন।’

করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাসটি। এখন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সোয়া ৪ লাখ এবং মারা গেছেন প্রায় ১৯ হাজার মানুষ। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৯ হাজার ১৫৩ জন।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ই মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন পাঁচজন। করোনার বিস্তাররোধে এরই মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সব বিপণিবিতান। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আদালতও। এছাড়া, সংক্রমণরোধে আগামী ২৬শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশের সব জেলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।