বিজ্ঞানী পিসি রায়ের ১৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত

প্রকাশঃ ২০১৯-০৮-০২ - ১৭:১৫

স্নেহেন্দু বিকাশ, পাইকগাছা : বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ( পিসি)রায় এর জন্ম বার্ষিকীতে বিজ্ঞানী পিসি রায়ের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা,বসত বাড়ীর সিমানা প্রচীর দিয়ে পিকনিং স্পট ,সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের অধিনে জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন, বিজ্ঞানীর নামে বোয়ালিয়া ব্রীজের নাম করণের দাবী উঠেছে। ২ আগষ্ঠ শুক্রবার বিজ্ঞানীর ১৫৮তম জন্ম বার্ষিকীর দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচির আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবী করেন। সকালে বিজ্ঞানীর জন্ম ভিটা রাড়ুলীতে পিসি রায়ের ভাস্কর্য্যে জেলা- উপজেলা প্রশাসন, সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও স্থানীয আ’লীগ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মাল্যদান করেণ। এর পর অতিঃ জেলা প্রশাসক( এলএ) মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-৬, (পাইকগাছা-কয়রার) এমপি আকতারুজ্জামান বাবু। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না। প্রভাষক ময়নুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সচিব খন্দকার মোঃ আছাদুজ্জামান,সহকারী পুলিশ সুপার( ডি সার্কেল) মোঃ আছাদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শেখ শাহাদৎ হোসেন বাচ্চু, ভাইস চেয়ারম্যান-শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, লিপিকা ঢালী, রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান-আঃ মজিদ গোলদার,সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র ঘোষ,মিহির বরন মন্ডল, উপজেলা আ’লীগ নেতা আনোয়ার ইকবাল মন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান মনছুর আলী গাজী,আনন্দ মোহন বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন আ’লীগ নেতা আরশাদ আলী, শংকর দেবনাথ,আঃ হাকিম গোলদার,ইকবাল হোসেন খোকন,সাবেক চেয়ারম্যান-কাজল কান্তি বিশ্বাস, উত্তম কুমার দাশ,প্রধান শিক্ষক গোপাল ঘোষ,অজিত কুমার সরকার,মোঃ খালেকুজ্জামান, দীপংঙ্কর দত্ত,সাংবাদিক আঃ আজিজ,শিক্ষার্থী প্রান্ত দাশ,নাবিরা হাসনাথ,মনিরা ফারজানা প্রমুখ।
বিজ্ঞানী পিসি রায় ১৮৬১ সালে ২ আগষ্ঠ পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে রাড়ুলীতে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতা হরিশ্চন্দ্র ও মায়ের নাম ভুবন মোহনী দেবী। বাঙালী এ বিজ্ঞানী একাধারে শিক্ষাবিদ,শিল্পপতি,রসায়নবিদ,সমাজ সংস্কারক,অ-সাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ ও সমবায় আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন। পিসি রায় ১৮৯২ সালে কলকাতার মানিকতলায় মাত্র ৮শ টাকা পূঁজি নিয়ে বেঙ্গল কেমিক্যাল এ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ঔষধ শিল্প কারখানা গড়ে তোলেন। তিনি খুলনা,সাতক্ষিরা,বাগেরহাট সহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের মিল, উপমহাদেশের প্রথম সমবায় ব্যাংক, সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। বিজ্ঞানী একাধারে ২০ বছর ধরে কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজে রসায়ন শাস্ত্রের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।১৯৩০ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে। একই বছর লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত বর্ষের মহিশুড় ও বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানীকে সন্মান সূচক ডক্টরেট ড্রিগ্রী প্রদান করে। চিরকুমার এই বিজ্ঞানী তাঁর জীবনের অর্জিত অর্থ-সম্পদ মানব কল্যানে দান করে গেছেন। ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন ৮৩ বছব বয়সে পিসি রায়ের জীবনাবসান ঘটে।