সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে অস্ত্র প্রদর্শন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মালিক আলমগীর আলম। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আলম, জুট আলম নামেও পরিচিত। ২০১৩ সালে প্রকাশ্যে গুলি করার অভিযোগ যুবলীগের দিদারুল আলম ও জাফরের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় দিদারুল আলমের অস্ত্রটি জব্দ করা হয়।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের এমন কর্মকাণ্ডে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।
চট্টগ্রাম মহানগর টিআইবি ও সনাকের সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তার কবির চৌধুরী বলেন, এসব কর্মকান্ডের ফলে নাগরিকদের মধ্যে একটি সন্দেহের অবকাশ থেকে যায় যে রাষ্ট্রে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করার মত অন্য কোন শক্তি কি তাদের অভ্যন্তরে আছে?
বিভিন্ন সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে মোট বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সের সংখ্যা ৪ হাজার ২৭২টি। এরমধ্যে জেলায় ১ হাজার ৭৮৫টি, নগরীতে ২ হাজার ৫৭৭টি। আর ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয় ৫৩৮টি।
বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করা হলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ মাহাবুবুর রহমান। তিনি বলেন, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে যারা অস্ত্র প্রদর্শন করছে বা অস্ত্রের অপব্যবহার করছে তাহলে যে কোন মুহুর্তেই লাইসেন্স বাতিল করার এখতিয়ার আছে।এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাও করা সম্ভব।
অভিযানের পর নিজেদের সাম্রাজ্য গুটিয়ে অনেকেই এখন আত্মগোপনে। যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক। তিনি বলেন, যুবলীগের কোন নেতাকর্মী যদি এমন কোন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, আমাদের নির্দেশ দেয়া আছে কাউকে কোন ছাড় না দেয়ার জন্য। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যেই পদক্ষেপ নিবে তাকে আমরা স্বাগত জানাবো।