ব্যান্ডউইথ কমায় বেড়েছে গ্রাহক ভোগান্তি

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-১৫ - ১১:৪৭

ঢাকা অফিস : বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ ও সিম কেনার সম্পূরক শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় টেলিকম সেবা হয়ে পড়ছে ব্যয়বহুল। নিম্ন আয়ের গ্রাহকদের ফোনে রিচার্জের হার ও সিম বিক্রি কমেছে- বলছে টেলিকম অপারেটরগুলো। অন্যদিকে বিটিআরসির সঙ্গে পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্বে গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ কমানোতে এই বাড়তি ব্যয়ের বোঝা নিয়েও পর্যাপ্ত সেবা বঞ্চিত হচ্ছে শেষপর্যন্ত গ্রাহকরাই।

মহাখালীতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন ফ্যান্সি। চার সন্তানসহ পরিবারের বাকি সবাই থাকেন গ্রামের বাড়ি। তাই তাদের নিয়মিত খোঁজখবর চলে মোবাইল ফোনেই। নিম্ন আয়ের এই নারীর বেতন না বাড়লেও বাজেটের কারণে বছরের মাঝামাঝিতে বেড়েছে মোবাইল ফোনের খরচ।

দেশে নিবন্ধিত মোবাইল সিম এখন ১৬ কোটি ৮২ হাজার। এসব সিমে ১০০ টাকার কথা বললেই এখন মূসক, শুল্ক ও সারচার্জ মিলিয়ে প্রায় ২৭ টাকা পাবে সরকার। যা আগে ছিলো প্রায় ২২ টাকা। সেই সঙ্গে মোবাইল সিমের ওপরেও দ্বিগুণ হয়েছে কর। একশো’র জায়গায় কর বসেছে দুইশো টাকা।

এতে আগের তুলনায় মোবাইলে অর্থ ব্যয় ও সিম বিক্রির হার কমছে- বলছে টেলিকম অপারেটররা।

অন্যদিকে পাওনা ইস্যু দ্বন্দ্বে গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ কমিয়েছে বিটিআরসি। এতে ইন্টারনেটের ধীরগতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তরাই।

গ্রাহককে ভোগান্তিতে ফেলায় একে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলছে টেলিকম অপারেটররা।

বিকল্প উপায় না পেয়ে পাওনা আদায়েই নিতে হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত-  বলছে বিটিআরসির চেয়ারমম্যান জহুরুল হক।

দেশে এখন মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ৪৭ শতাংশ গ্রামীণফোন এবং রবি ব্যবহার করেন ৩০ শতাংশ গ্রাহক। অন্যদিকে মোট গ্রাহকের ২০ শতাংশ ব্যবহার করছেন বাংলালিংক আর বাকি ৩ শতাংশ ব্যবহার করেন টেলিটক।