মহাসড়কে ‘মহাসমাবেশ’

প্রকাশঃ ২০১৯-০৮-১১ - ১২:৪৪

ঢাকা অফিস : ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিনেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটে নাকাল হয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে নাড়ীর টানে ঘরে ফেরা মানুষদের। গেল মধ্যে রাত তিনটা থেকে সকাল ৯টা প্রায় ৬ ঘন্টা কার্যত অচল হয়ে পড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের পাকুল্ল্যা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু প্রান্তের প্রায় ৪০ কি.মি এলাকা। এ যেন মহাসড়কে যানবাহনের মহাসমাবেশ!

এমন অবস্থার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনগন মহাসড়কের অন্তপক্ষে দশটি স্থানে ঢাকামুখী লেনে আগুন জ্বালিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ভোগান্তির মাত্রা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। পরে সকাল দশটার দিকে ধীর গতিতে যান চলাচল শুরু হলে কিছুটা শান্ত হয় ঘরমূখী মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, গেল চব্বিশ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার যানবাহন পারাপার করেছে কতৃপক্ষ। যা গেল দিন চেয়ে এক হাজার কম ও বিগত বছরের ঈদের আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার চেয়ে বেশি। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৭০ কি.মি অংশের বিভিন্নস্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজটের। তা কোথাও কোথাও দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার এলাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর ফলে এই অংশ পাড়ি দিতেই সময় লাগছে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা! একদিকে যানজট অন্যেিদক তীব্র তাপাদহের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। প্রখর রোদে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নারী-শিশু ও বয়বৃদ্ধ। পানি  ও খাদ্য সংকটে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন তারা।

এদিকে পয়:নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অমানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে নারী যাত্রীদের। এমনটাই অভিযোগ ভোগান্তির শিকার হওয়া পরিবহণ চালক ও যাত্রীদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা কোন কাজেই আসেনি বলেও অভিযোগ তাদের। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই বছর বছর মানুষের ভোগান্তীর মাত্রা আরও বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা

অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, ভারী বর্ষণ ও দুর্ঘটনায় মহাসড়কে গাড়ি বিকল, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ও বঙ্গবন্ধু সেতুতে কয়েক দফা টোল আদায় বন্ধ এবং সিরাজগঞ্জ অংশে সরু ব্রীজ ও সড়কে খানাখন্দ থাকায় গাড়ির স্বাভাবিক গতি ব্যহত হওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি বলে দাবী প্রশাসনের। তবে প্রশাসনের দাবী যানজট নিরসনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।