মহেশপুর হাসপাতালে বান্ধবীকে দেখে এসে আরেক বান্ধবীর আত্মহত্যা

প্রকাশঃ ২০১৭-০৭-১৬ - ২২:০২

প্রতিনিধি ঝিনাইদহঃ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাছে বান্ধবী প্রিয়া খাতুন। হাসপাতালে অসুস্থ্য বান্ধবীকে দেখে এসে বাবা-মায়ের বকুনী শুনে মনের দুঃখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে অসুস্থ্য প্রিয়া খাতুনের বান্ধবী সুমাইয়া খাতুন (১৪) নামের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী। এঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর এলাকার কাজিপাড়া গ্রামে।

কয়েক জন বান্ধবী জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহেশপুর পৌর এলাকার জলিলপুর গ্রামের খাইরুল ইসলামের মেয়ে মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়া খাতুন মা-বাবার উপর অভিমান করে কীটনাশক পান করে। পরে ঐ রাতেই গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবারের সদস্যরা।

এ খবর শুনে প্রিয়া খাতুনের বান্ধবী পৌর এলাকা কাজিপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন গত শনিবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে কয়েকজন বান্ধবী মিলে হাসপাতালে অসুস্থ্য প্রিয়া খাতুনকে দেখতে যায়। পরে বাড়ী ফিরতে দেরি হওয়ায় সুমাইয়া খাতুনের বাবা-মা বকুনী দিলে রাতে নিজ ঘরে গলাই ফাঁস দেয়। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মাহাবুব আলম তাকে মৃত ঘোষনা করে।

সুমাইয়া খাতুনের বান্ধবী অসুস্থ্য প্রিয়া খাতুন জানান, দুপুর ১টার দিকে বান্ধবী সুমাইয়াসহ কয়েকজন বান্ধবী আমাকে হাসপাতালে দেখতে আসে। কিছু সময় আমার সাথে থাকে। পরে তারা সবাই বাড়ী ফিরে যায়। রাত ১০টার দিকে জানতে পারি আমার বান্ধবী সুমাইয়া খাতুন আমার সাথে দেখা করতে আসার কারণে তাকে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে হয়েছে। ডাঃ মাহাবুব আলম জানান, হাসপাতালের নিয়ে আসার পূর্বেই সুমাইয়া খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় মহেশপুর থানায় শনিবার রাতে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।