মাগুরখালীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যুদ্ধে ৩জন

প্রকাশঃ ২০২১-০১-০৯ - ২১:৩৪

দেশ প্রতিবেদক, ডুমুরিয়া : আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪নং মাগুরখালী ইউনিয়নেও বইছে প্রচার-প্রচারণার হাওয়া। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই ইউনিয়নে বিরোধী দল বিএনপির তেমন কোন জোরালো প্রার্থী না থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ৩ প্রার্থী। জানা গেছে, উপজেলার সর্বশেষ ইউনিয়নটিই হল ১৪নং মাগুরখালী। উপজেলার এই অঞ্চলটি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। তাই এখানকার অধিকাংশ ভোট আওয়ামী লীগ পক্ষেই থাকে সবদিন। তবে এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকায় সরব হয়ে উঠেছে নেতৃত্ব। ব্যক্তিগত মত-আদর্শ, নেতৃত্বের বিকাশ ও উন্নয়ন ভাবনায় অনেকেই এখন ওই চেয়ারটির দাবিদার। আর ওই চেয়ারটি বিজয়ের অন্যতম পথ হল দলীয় মনোনয়ন। যা প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন তিন প্রতিযোগী। এ বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, আমি ও আমার পরিবার এই ইউনিয়ন বাসীর সাথে নিবিড় ভাবে মিশে আছি। এইবারসহ তিন পিরিয়ড আমি এখানকার চেয়ারম্যান। এখানকার উন্নয়ন, অগ্রগতি যা কিছু সবই বর্তমান সরকারের আসলে এবং আমার প্রচেষ্টায় করা হয়েছে। এক সময়ের ডাউন মাগুরখালী আজ টাউন মাগুরখালীতে পরিনত হয়েছে। সরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্যে’রও পরিবর্তন হয়েছে। এক সময়ে স্কুল কলেজ রাস্তাঘাট কিছুই ছিল না। মানুষের কস্টের সীমা ছিল না। আজ তার অনেক পরিবর্তন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নীতি আদর্শকে আমি সব সময় স্মরণ করে চলি। চলার পথে অনেক হয়রানী নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তারপরও মানুষের পাশে থেকে তাদের ভালোবাসায় এগিয়ে যাচ্ছি। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর প্রার্থী প্রভাষক ব্রজেন সরকার বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি করে আসছি। বর্তমানে ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করি। বর্তমান পেক্ষাপটে উন্নয়নের মাধ্যম হল জনপ্রতিনিধিত্ব। এলাকা বা মানুষের জন্য উন্নয়নমুলক কিছু করতে হলে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতে পারলে অনেক সুবিধা হয়। যে কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নেমেছি মাঠে। ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আর ইউনিয়ন বাসীও আমার সঙ্গে রয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর প্রার্থী সুজিত কুমার মন্ডল বলেন, আমার প্রায়ত দাদা স্বর্গীয় কার্তিক চন্দ্র মন্ডল ছিলেন এই ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান। এই ইউনিয়ন বাসীর সাথে তার ছিল নাড়ির সম্পর্ক। তার মৃত্যু’র পরে তারই অনুসারী ও আপনজনরা আমাকে উৎসাহিত করে। সেই থেকে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। দলীয় ভাবে বড় কোন পদ-পদবি নেই। তারপরও ইউনিয়ন জুড়েই আমার নিজস্ব কর্ম-সমার্থক রয়েছে। বিশেষ করে নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষগুলো আমার পক্ষেই কাজ করছে। ইউনিয়নের বিএনপি নেতা অরুণ কুমার গোলদার বলেন, এখানে আওয়ামী লীগের ভোট বেশি। তাছাড়া দীর্ঘদিন ঘরে দল ক্ষমতায় নেই। তারপরও দলীয় প্রতীক পেলে অবশ্যই নির্বাচন করবো। কারণ আওয়ামী লীগের মধ্যে চরম বিরোধ। সেক্ষেত্রে বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকলে পরিস্থিতি অনুকুলে আসার সম্ভবনা রয়েছে।