মোংলার দিগরাজে সংখ্যালঘুর জায়গা জবর দখল

প্রকাশঃ ২০২০-১০-০৯ - ১৮:৩৩

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোংলার দিগরাজে সংখ্যালঘুর জায়গা দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে খুলনার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মো: বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে। নিজের খরিদ করা ওই সম্পত্তির পুরো দখল পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতনিধির দ্বারে দ্বারে এগারো মাস ঘুরেও অসহায় তাপস গাইন পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার। ওই ভূমি জোরপূর্বক দখলে রাখতে বেলায়েত নানা কৌশলে তাপসকে হয়রানী করে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, মোংলার দিগরাজ মৌজায় এসএ ৩৬৫ ও ১৮৩ নম্বর খতিয়ানে ৬৫ শতক ভূমির রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন পূর্ণচরণ মন্ডল। তার মৃত্যুর পর ওই সম্পত্তির ওয়ারিশেরা ১৯৮১ সালে কবলা মুলে বিক্রি করে দেন। ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখলে থাকা ওই কাকড়া মার্কেটটি মাহফুজুল হক লিমনের নিকট থেকে ২০১৯ সালে ৬৫ শতক ভূমি বায়না চুক্তি দলিল করেন তাপস গাইন। সংখ্যালঘু হওয়ায় তাপস গাইনের ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল নিতে থাকেন খুলনার ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন।
তাপস গাইন অভিযোগ করে বলেন, তাকে হয়রানী করতে জালজালিয়াতীর মাধ্যমে তার চুক্তিকৃত কাঁকড়া মার্কেটের সম্পত্তিতে জনতা ব্যাংক খুলনা শাখার নিকট দায়বদ্ধ একটি সাইনবোর্ড দিয়ে রেখেছেন বেলায়েত। মুলত ব্যাংকের ওই শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে এসএ খতিয়ানের উল্লেখিত দুই দাগের ওই সম্পত্তিতে তাদের কোন মর্গেজ বর্তমানে নেই। কাঁকড়া মার্কেটের ওই ভূমি তিনি ক্রয় চুক্তি করায় প্রভাবশালী বেলায়েত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে নানা কৌশলে তা জবর দখলে রেখেছেন। তার জবর দখল ঠেকাতে তিনি স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধির দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাপস আরো বলেন, তিনি চুক্তি করা দলিল মোতাবেক ৬৫ শতক জমির মালিক। অথচ তার দখলে এখন ওই পরিমাণ সম্পতি নেই। বাটোয়ারা করে তার অবশিষ্ট ভূমি দখল নিতে ১১ মাস ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দপ্তরে। তার দাবী সংখ্যালঘু হওয়ায় তার উপর অত্যাচারের নমুনা এটি। তার দলিল অনুযায়ী জমি বুঝে পেতে আর বেলায়ের গংদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তিনি হস্তক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকসহ স্থানীয় প্রশাসনের।
এ বিষয়ে বেলায়েত হোসেনের দাবী তিনি খরিদ সূত্রে ওই ভূমির মালিক। তবে বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তাদের কয়েকটি বৈঠক হওয়ার কথা স্বীকার করেন বেলায়েত হোসেন।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে থানায় একাধিকবার বৈঠক হলেও প্রভাবশালী বেলায়েত হোসেন কোন সিদ্ধান্ত মানছেন না বলে জানান জমি পরিমাপকারী সংগঠন আমিন সমিতির সদস্যরা।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, বিরোধপূর্ণ জায়গাটি নিয়ে এর আগে মাপঝোপ ও বসাবসিও হয়েছে। তারপরও ওই জায়গা নিয়ে যাতে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেদিকে পুলিশের নজরদারী রয়েছে।