মোংলায় আশ্রয় কেন্দ্রে ৭ হাজার মানুষের অবস্থান

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-২০ - ১৩:১৫

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে থাকায় রাতে মোংলার বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে উঠা এ সকল লোকজনের মাঝে শুকনা খাবার যেমন চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, আখের গুড় এবং খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দেয়া হয়েছে মোমবাতি ও দেয়াশলাইও।
আম্পানের কারণে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া ক্রমই খারাপের দিকে যেতে থাকে। বিকেল থেকে থেমে থেমে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা সন্ধ্যার পর থেকে আরো বাড়তে শুরু করে। যার ফলে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় মোংলার সবচেয়ে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত চিলা, সুন্দরবন ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের নদীর পাড়ের দুর্বল কাঁচা ঘরবাড়ীতে বসবাসকারীদের সন্ধ্যার পর থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়। রাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বেশি উঠেছে চিলা ইউনিয়নের লোকজন। এরপর সুন্দরবন, সোনাইলতলা ও বুড়িরডাঙ্গার লোকজন উঠে আশ্রয় কেন্দ্রে।
রাতেই উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: নাহিদুজ্জামান নাহিদ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠা সাধারণ লোকজনের কাছে ছুটে যান। এবং সকলের মাঝে খাবার বিতরণ করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেখানে নিরাপদে অবস্থানের ব্যবস্থা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান বলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দ থেকে ইতিমধ্যে ২৪ টন চাল, শুকনো খাবারের জন্য ৩৬ হাজার টাকা এবং শিশু খাবার সংগ্রহের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।