মোংলায় কানাইনগরে জাকিরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মানুষ

প্রকাশঃ ২০১৮-১১-১০ - ১৮:২২

স্টাফ রিপোর্টার : মোংলা উপজেলা কানাইনগরে গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হাসান হাওলাদার ওরফে জাকিরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রেতাদের শেল্টার ও নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। মোংলা থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। চলতি বছরে গত মে মাসে তার বিরুদ্ধে মোংলা থানায় নানান অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা মামলা দায়ের করেছেন। 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোঃ হাসান হাওলাদার ওরফে জাকিরের অত্যচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকায় নিরীহ মানুষগুলো। সাবেক মেম্বর সুলতানের অনুসারী সে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টারের অভিযোগ রয়েছে। গত  মে মাসে কানাইনড়া আবাসন প্রকল্পের একটি বাড়িতে অনুপ্রবেশ ও সাঙ্গাপাঙ্গা নিয়ে মাদক (গাজা) সেবনে মগ্ন ছিলো। স্থানীয় যুবক সাগর। এতে এলাকাবাসি আপত্তি ও বাধা দিলে সাবেক মেম্বর সুলতান-জাকির গ্রুপের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ির মালিক আলমগীর ও তার পরিবারের ওপর হামলায় চালায়। এ ঘটনায় আহতদের বর্তমান মেম্বর সেলিম-হাসেম গ্রুপ দেখতে যাওয়ায় পথে দ্বিতীয় দফায় আাবারও হামলা চালানো হয়। গত ২০ মে কানাইগ্রামে আলমগীর খা এর স্ত্রী মোসাঃ মিনি বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করে মোঃ হাসান হাওলাদার ওরফে জাকিরতাকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় মিনি বেগমের স্বামী মোঃ আলমগীর খা বাধা দিলে তাকেও মারপিট করে। এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের জন্য উদ্দেশ্যে মোংলা থানায় অভিযোগ দাখিল করার জন্য আসলে সেখানে জাকিরসহ তার লোকজন পুনরায় তাদেরকে মারপিট করে। এ ঘটনায় মংলা থানায় মোসাঃ মিনি বেগম বাদি হয়ে মোঃ সুলতান হাওলাদারের পুত্র মোঃ হাসান হাওলাদার ওরফে জাকিরকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-১১–২৩-০৫-১৮। এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মোংলা থানা এসআই মোঃ গোলাম মোস্তফা। এছাড়া জামোঃ হাসান হাওলাদার ওরফে জাকিরের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় আরো একটি মামলা রয়েছে। মামলার বাদি একই গ্রামের বাসিন্দা আঃ মজিদ গাজীর স্ত্রী মোঃ পারুল বেগম। মামলা নং -১২-২৩-০৫-১৮। মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে তারভাইজী মিনি বেগমকে মোঃ হাসান হাওলাদার ওরফে জাকির মারধর করে। তাকে দেখতে গেলে জাকিরের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় জাকিরকে ১নং আসামি করে ২৬ জন নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। 
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ গোলাম মোস্তফাকে এ প্রতিবেদক মামলার বতর্মানে অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন পড়ে কথা বলেন।