মোংলায় পূর্ণস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রাস উৎসব

প্রকাশঃ ২০১৯-১১-১৩ - ১৯:৫১

মোংলা : পূর্ণস্নানের মধ্য দিয়ে সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকা মোংলায় হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বিদের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব পালন করেছে কয়েক শতাধিক শিশু ও নারী-পুরুষরা। রাতভর পুজা ও আরাদনা শেষে সকালে সমুদ্রের প্রথম জোয়ারের নোনা পানিতে পাপ মোচনের প্রত্যাশায় পূর্ণস্নানের অংশ নেয় হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বিরা। তবে ঘুর্নিঝড় বুলবুলের কারনে এবার সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে তিনশ বছরের পুরানো রাস উৎসব পন্ড হয়ে যাওয়ায় পশুর নদীর ঘোলাটে জলেই পূর্ণস্নান শেষ করেন তারা। প্রতি বছর বাংলা কার্ত্তিক মাসের শেষে বা অগ্রহায়ণের প্রথম দিকের রাস পূর্ণিমার তিথিতে এই রাস উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। হিন্দু ধর্মালম্বীরা রাস পুর্নিমার পর দিন প্রথম জোয়ারে বঙ্গোপসাগরের নোনা পানিতে পূর্ণস্নান করে তাদের পাপ মোচন হবে-এমন বিশ্বাস নিয়ে রাস উৎসবে যোগ দেয় তারা। এ রাস মেলা উপলক্ষ্যে মোংলার বুড়িরডাঙ্গা, কানাই নগর, চিলার কলাতলা এলাকায় পৃথক ভাবে রাস মেলার আয়োজন করে স্থানীয় হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বিরা। মন্দিরে পুজা অর্চনার পাশাপাশি রাত ভর চলে ধর্মীয় আলোচনা। পরে ভোরের সূর্যাদয়ের সাথে সমুদ্রের জোয়ারের নোনা পানিতে পূর্ণস্নানের যোগ দেন পুজারীরা। রাস উৎসব মুলত হিন্দু সনাতন ধমাবলম্বিদের হলেও কালের বিবর্তনে এ মেলা ও উৎসব এখন সকল ধর্মাবলম্বিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকে। তবে এবারের ঘুর্নিঝড় বুলবুলের কারনে সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর পাড়ে দুবলার চরে আলোরকোলের রাস উৎসব পন্ড হয়ে যায়। ১৪০০ খ্রিস্টাব্দের পুর্ব থেকেই সুন্দরবনে এ রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হলেও যোগ দিতে পারেনি সনাতন ধর্মাবলম্বিরা। উপজেলার চাদঁপাই ইউনিয়নের কানইনগর রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি সপ্না মজুমদার জানান, দুবলার চরের আলোরকোলে রাস উৎসব পালন হয়। তারই অংশ হিসেবে আমরাও দীর্ঘ প্রায় শত বছর ধরে পশুর নদীর তিড়ে এ রাস উৎসব পালন করে আসছি। তবে সাগর পাড়ের রাসের জন্য প্রতি বছর এখানে লোকজনের সমাগম কম হলেও এবারের শিশু ও বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষরা ব্যাপক সারা পেয়েছি। তাই আমাদের পুর্ব পুরুষের ধর্মিও উৎসব পালন করা হয়েছে।