মোংলায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি মেম্বরসহ ৫ জন রক্তাক্ত জখম

প্রকাশঃ ২০২০-০৭-০৫ - ১৮:০১

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোংলায় সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় স্থানীয় ইউপি মেম্বরসহ অন্তত ৫ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে আহত আলমগীর মল্লিকের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী গ্রামের মারিয়া সরকারের ছেলে পার্থ সরকার (২৫) একই এলাকার জনৈক ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ওই মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়েন এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পার্থ সরকার ও মেয়েকে স্ত্রী এবং স্ত্রীর ভূমিষ্ট কন্যাকে স্বীকৃতি না দেয়ার কারণেই শনিবার সন্ধ্যার পর সালিশ বৈঠক বসে। চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের এ সালিশিতে পার্থকে ওই মেয়েকে স্ত্রী বলে মেনে নেয়ার এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হয়। সালিশিতে ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মো: তারিকুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি মেম্বর জাহাঙ্গীর মল্লিক, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইস্রাফিল হাওলাদারসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্র্গরা উপস্থিত ছিলেন। সালিশি বৈঠকে পার্থকে বিয়ের সিদ্ধান্ত দেয়া হলে তাৎক্ষনিক সে ও তার পরিবার মেনে নিলেও এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যার কারণে সালিশ শেষে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলে এসে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পথিমধ্যে মালগাজী মিশন বাড়ীর মোড়ে সালিশ বৈঠকে থাকা ইউপি মেম্বর ও তার সাথের লোকজনের উপর হামলা চালায় সাবেক ইউপি মেম্বর রেজি সরকারের নেতৃত্বে পার্থ গংরা। এ সময় রেজি মেম্বর, পার্থ, পার্থর মা মারিয়া, খালা চন্দনা, খালাতো ভাই সেতুসহ বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মেম্বর জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনকে জখম করে। পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে রাতেই তাদেরকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত আলমগীর মল্লিক, রাহাত মল্লিক, জাহিদ মল্লিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বর জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, সালিশ মন মত না হওয়ায় আমার প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি মেম্বর রেজি সরকার, পার্থ ও তার মা মারিয়াসহ অন্যান্যরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। এরমধ্যে আমার ভাই আলমগীর মল্লিকের অবস্থা খুবই খারাপ, তাকে এবং রাহাত ও জাহিদকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে ৭ জনের নাম পরিচয় উল্লেখ্যসহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ৩। মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা চলছে বলেও জানান তিনি।