মোংলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ২০২১-০১-১১ - ২০:৪৩

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মো: জুলফিকার আলীর প্রচারণায় বাধা, হামলা, মারধর, নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি কর্মীদের বাড়ীঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডস্থ মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলী তার বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সকল অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততোই প্রতিপক্ষরা আমার কর্মীদেরকে মারধর করছে, মাইক ও সেট ভাংচুর করা হচ্ছে, পোস্টার ছিড়ে ফেলছে, কর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভাংচুর করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, রবিবার রাতে পৌরসভার রাজ্জাক সড়কের হাজী আলমের বাড়ী, বাহারউদ্দিন সড়কের টুটুলের বাড়ী ও মুসলিম পাড়ার জাকিরের বাড়ীতে ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক কর্মীর বাড়ীতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সোমবার সকালে পৌর শহরের খোজেরডাঙ্গা এলাকায় ভোট চাইতে যাওয়া তার চার নারী কর্মী ফাতেমা (৩৫), মুন (২৫), মরিয়ম (৩০) ও রাবেয়া (২৭)কে বেদম মারপিট করে এবং তাদের কাছে থাকা সোনার গহনা ও মোবাইল ফোনসহ সকল মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া তাদের পরিহিত কাপড়চোপড়ও ছিড়ে ফেলে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এর আগে রবিবার রাতে মাদ্রাসা রোডে তার কর্মী কালু, রনি বাবুল ও শহীদকে মারধর করে তাদেও সাথে থাকা সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষের লোকজনেরা। এছাড়া গত ২৯ ও ২৫ ডিসেম্বর দুই দফায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মো: জুলফিকার আলীসহ তার কর্মীদের উপর হামলা হয়।
নির্বাচনকে ঘিরে পৌরসভার বাহিরের লোকজন বিশেষ করে এখানকার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও আশপাশ উপজেলার মানুষ এসে ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকি, মারপিটসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বাহিরের লোকজন এখানকার ভোটারদের বাড়ী গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভীতি প্রদর্শন করছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমি ভয় পাচ্ছি, অতি সত্বর যদি র‌্যাব, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বিজিবি আগে ভাগে মাঠে না নামানো না হয় তাহলে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি দুই একদিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলরক্ষাকারী বাহিনীকে মাঠে নামানোর জন্য নির্বাচন অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তা কামনা করেছেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় আহত নারী কর্মীদের দেখতে এবং ঘটনার তদন্তে গিয়ে সোমবার দুপুরে মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: আসিফ ইকবাল বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত শেষে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।