মোংলায় সংখ্যালঘু পরিবারের সম্পত্তি দখলের পায়তারা

প্রকাশঃ ২০১৮-০৭-১৭ - ১২:৩০

মোংলা প্রতিনিধি : মোংলায় সংখ্যালঘু একটি পরিবারের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নিতে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল পায়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী, তাদের মালিকানা সম্পত্তি দখলের জন্য বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। ওইসব প্রভাবশালী ভুমি দস্যুদের ভয়ে তারা এখন বাড়ি ছাড়া। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি ওই পরিবারটি। এদিকে সংখ্যালঘু এই পরিবারটির একমাত্র ভিটেমাটি লুটে নিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন সরকারী দপ্তরসহ রাজনৈতিক নেতাদের কাছ দৌড়ঝাপসহ দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও ভুক্তভোগিরা জানান।
সরেজমিনে জানা যায়, মোংলা উপজেলার আরাজী মাকড়ঢোন মৌজায় এক একর ২০ শতক ফসলি জমির দীর্ঘ দিনের খাজনা বাকি থাকায় ১৯৬৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ম্যানেজার কোট নিলাম দেয়। সেখান থেকে সর্বোচ্চ দর দিয়ে নিলাম গ্রহণ করেন জনৈক ভূষণ চন্দ্র ঘটক। এরপর নিচু ভূমিটি পর্যায়ক্রমে উচু করে সেখানে কয়েকটি বসতি তৈরী করেন তিনি। এরপর বয়সের ভারে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন ভূষণ চন্দ্র ঘটক। বন্ধ হয়ে যায় তার চলা ফেরা। এছাড়া একমাত্র সন্তান লিটন চন্দ্র ঘটক পড়াশুনা করার জন্য বাহিরে অবস্থান করতে থাকেন এ সুযোগে শুরু হয় ভূমি দস্যুদের দৌরাত্ব। ভুষণ চন্দ্র ঘটকের পুত্র লিটন ঘটক অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতার অসুস্থ্যতা আর আমার অনুপস্থিতিতে আমাদের ওই ভুমিটি দখলের জন্য নানা চেষ্টা চালায় স্থানীয় শাহ নেওয়াজ, ইজারাদার মেহেদি হাসানসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। ওই সকল প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আদালত অমান্য করে সেখানে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালায়। তাতে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হয়রানী করে আসছে। লিটন ঘটক আরো জানান, হয়রানী থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি ২০১৮ সালে মোংলা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভুমি) দপ্তর থেকে ওই জমি তার পিতা ভুষণ চন্দ্রের নামে নাম পত্তন করিয়েছেন। তারপরও হয়রানী করার জন্য ভুমিটি সরকারী সম্পত্তি এমন অভিযোগ এনে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ করেছে ওই প্রভাবশালী মহলটি। এ বিষয়ে শাহ নেওয়াজ বলেন, খালী পড়ে থাকা অবস্থায় এলাকাবাসী ওই মাঠে দীর্ঘ দিন খেলাধুলা করেছে। আর যেহেতু ভুমিটি এ্যানিমি সম্পত্তি ছিলো সেহেতু সরকারের মালিকানা থাকলে জন সাধারণ খেলাধুলা করতে পারতো তাই আমরা অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তার কাছে খুবই স্পর্শকাতর মনে হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে আগামী ১৯ জুলাই ডাকা হয়েছে।