মোংলা বন্দরে বিদেশী জাহাজে কাস্টমসের হয়রানীর অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৯-২৪ - ১৮:৩৮

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা : মোংলা বন্দরে আগত বিদেশী জাহাজে তল্লাশীর নামে নানাভাবে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে কাস্টমসের কতিপয় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। বিদেশী এসব জাহাজের ক্যাপ্টেনদের (মাষ্টার) কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে মোটা অংকের ডলার হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিদেশী জাহাজের ক্যাপ্টেনদের অভিযোগ, মোংলা বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ প্রবেশ ও নোঙ্গর করার সাথে সাথে কাস্টমসের তল্লাশী দল (র‌্যামেজ টিম) ক্যাপ্টেনসহ অন্যান্য নাবিকদের কাছ থেকে ডলার হাতিয়ে নেয়ার জন্য নানাভাবে হয়রানী থাকেন।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিদেশী এ সকল জাহাজে কোন প্রকার তল্লাশী চালাতে গেলে কাস্টমস হাউসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিত অনুমতিপত্র নেয়ার বিধান রয়েছে। তবে সে সব নিয়ম না মেনেই কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো: আল মামুন, মো: হানিফ, মো: পাবেল রহমান ও মোঃ আশিক প্রতিনিয়ত তল্লাশীর নামে জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের হয়রানীতে ফেলে তাদের কাছ থেকে ডলার নিয়ে থাকেন। আর কাস্টমসের তল্লাশী দলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন এন্টিগোয়া পতাকাবাহী জাহাজ এম,ভি বিবিসি ওয়েসার, এম,ভি ফরসিং ও এম,ভি প্যানথেরাজ জাহাজের ক্যাপ্টেনরা। এই জাহাজগুলো হতে তারা (তল্লাশী দল) এক থেকে দেড় হাজার ডলার পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ক্যাপ্টেনদের।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করে বলেন, কাস্টমসের র‌্যামেজ টিমের (তল্লাশী দল) জন্য চট্্রগ্রাম বন্দরের তুলনায় মোংলা বন্দরে জাহাজ আসতে অতিরিক্ত ৫০ হাজার ডলার বেশি টাকা গুনতে হয়। বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেনদের তারা (তল্লাশী কর্মকর্তারা) পদে পদে হয়রানী করে থাকেন।
তবে এ ব্যাপারে কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো: পাবেল রহমান বলেন, এসব বিষয় আমাদের ব্যক্তিগত নয়, আর এখানে হয়রানীর কিছু নাই, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু করা হয়ে থাকে। তাও দুই মাস বা এক মাস পরে আমরা জাহাজে যাই। এ বিষয়ে আপনারা আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।
এদিকে বিদেশী জাহাজে তল্লাশীর নামে হয়রানীর অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে অপর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আশিক বলেন, উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশেই আমরা জাহাজে গিয়ে তল্লাশী চালিয়ে থাকি।
এ ব্যাপারে মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার (ভ্যাট) মো: ওয়াহিদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে কারো কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।