মোরেলগঞ্জে ৭২টি মন্ডপে চলছে শেষ মুর্হুতে রং তুলির কাজ

প্রকাশঃ ২০২০-১০-১৪ - ১৮:৩২

সৈয়দ শওকত হোসেন, মোরেলগঞ্জ : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সনাতন ধম্বাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। এবারে এ উপজেলায় ৭২টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দূর্গাউৎসব।
১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে মর্তলোকে মায়ের বাড়িতে দোলায় চড়ে দূর্গা দেবীর পৃথীবিতে আগমন ঘটেছে। তাই শেষ মুর্হুতে কারিগরবা রং তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৭২টি মন্দিরে মন্দিরে সাজ সজ্জার কাজ চলছে ভাস্কররা রং তুলিতে ব্যস্ত। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি, সরকারিভাবে বরাদ্ধ প্রতিটি মন্দিরের জন্য ৫শ’ কেজি করে চাল পাচ্ছেন পূজার আয়োজকরা।
বুধবার উপজেলা সভাকক্ষে এ উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৪, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ।
এদিকে সরেজমিনে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বহরবৌলা, ঝান্টিপুর, পুটিয়া, বলভদ্রপুর, শ্রীপুর, জয়পুরসহ বিভিন্ন গ্রামের পূজা মন্ডগুলো ঘুরে দেখা গেছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
এ সর্ম্পকে চেয়ারম্যান রিপন দাস বলেন, শারদীয় দূর্গাউৎসবকে সামনে রেখে প্রতিবারের ন্যায় এবারেও এ ইউনিয়নটিতে সবচেয়ে বেশী পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিনি প্রতিটি মন্ডপে আয়োজক ও কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে সার্বক্ষনিক খোজ খবর নিচ্ছেন।
মহামারী করোনায় ভাইরাসের প্রতিক’লতার মধ্যেও পূজারিদের এ উৎসব কোথাও কমতি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, শারদীয় দূর্গাউৎসবে এ উপজেলায় ৭২টি মন্ডপের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্ধ এসেছে ৩৯.৫ মেট্রিকটন চাল। প্রতিটি মন্ডবের জন্য ৫শ’ কেজি করে চাল ইতোমধ্যে বিতরণ করা শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.দেলোয়ার হোসেন বলেন, দূর্গাউৎসবকে সামনে রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার-বিডিপি, গ্রাম পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক টিম মাঠে থাকছেন। সরকারি বরাদ্ধ ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে।