মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে করে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৯-০৬-১০ - ১৬:৫৭

ইন্দ্রজিত টিকাদার, বটিয়াঘাটা : বটিয়াঘাটা উপজেলায় দক্ষিণ খুলনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর এক অংশের ১১ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আলোচনা সভা সোমবার বেলা ১১ টায় স্থানীয় উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সমিতির সভাপতি হাশেম মলঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মৎস্যজীবি জেলে সহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ খুলনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি বিভিন্ন সময় মৎস্য অধিদপ্তর, কোষ্টগার্ড, জেলে ও মৎস্যজীবি কার্ড করিয়ে দেয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা বানিজ্যের অভিযোগ করেছে একাধিক ভুক্তভোগী। দক্ষিণ খুলনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্য পুটিমারী এলাকার মৎস্যজীবি ত্রিদীপ রায় জানান, বর্তমান সভাপতি হাশেম মৌলঙ্গী জেলে ও মৎস্যজীবি কার্ড করিয়ে দেয়ার নাম করে ১৯ জনের কাছ থেকে ৩৮ শত টাকা আদায় করেছে। এছাড়া একই এলাকার প্রদীপ, গৌরঙ্গ রায় ও রাম মন্ডলকে নদীতে মাছ মারা বন্ধ কালীন সময়ে গোপনে মাছ মারতে দেওয়ার কথা বলে ২২ শত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা সমিতির কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও অর্থ বানিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরুপ আরেকটি নতুন কমিটি ঘোষণা করে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এছাড়া এক অংশের সভাপতি হাশেম মোলঙ্গীর বিরুদ্ধে সমিতির নামে বিভিন্ন জলাশয় ক্রয় করে সাব লিজ দিয়ে আইন শৃংঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শাহীন জানান, সরকারি রাজস্ব দিয়ে কাটাখালি জলাশয় লিজ নিয়ে মৎস চাষ পূর্বক জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু হাশেম মলঙ্গী অন্য খাল কিনে আমার খাল দখল করার জন্য সম্প্রতি কয়েকদিন আগে তিনি আমার লীজভুক্ত মৎস্য খামারে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ইউএনও ও এসিল্যাড সহযোগীতায় উক্ত সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এ ব্যাপ্যারে মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি হাশেম মলঙ্গী বলেন, আমি কোন মৎস্যজীবির কাছ থেকে চাঁদা স্বরূপ কোন ধরনের কোন টাকা আদায় করি নাই, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ ষড়যন্ত্র মাত্র। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার মোঃ মনিরুল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সোমবারের মৎস্যজীবি সমিতির আলোচনা সভার অনুষ্ঠানের সাথে আমাদের মৎস্য অধিদপ্তরের কোন সর্ম্পক নেই। আর আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ অর্থ বার্নিজ্য করে তা হলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ জিয়াউর রহমান জানান, কোন মৎস্যজীবি সমিতি প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে যদি অর্থ বার্ণিজ্য করে এবং তা প্রমানিত হলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ মৎস্যজীবি সমিতির এ সকল অনিয়ম ও অর্থ বার্ণিজের বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছে।