রামপালে শেষ মুর্হুতেও নিরাপদ গোসাই বাড়ি ভক্তের ঢল

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-২৪ - ১৯:০৬

সুব্র ঢালী, রামপাল (বাগেরহাট) : শ্রী শ্রী নিরাপদ গোসাইয়ের সেবা আশ্রমে শেষ মুর্হুতেও ভক্তের সমাগম নজর কাড়ছে। বাগেরহাটের রামপালে হিন্দু ধর্মাঅলম্বী লাখো পূন্যার্থীর মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজনগর ইউনিয়নের দীঘির পাড় এলাকায় নিরাপদ গোসাইয়ের বাড়ির ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে ব্যাপক লোকসমাগম এবং প্রশাসনের তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। রামপাল উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের দীঘির পাড় একটি প্রত্যন্ত এলাকা। দিঘীর পাড় থেকে আনুমান ২০০ গজ দক্ষিনে অবস্থিত শ্রী শ্রী নিরাপদ গোসাই এর সেবা আশ্রম। ঠিক কবে থেকে এত আড়ম্বরপূর্নভাবে হিন্দু (মতুয়া) সম্প্রদায়ের এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তার সঠিক হিসাব জানা না থাকলেও লোকমুখে প্রচারের ভিত্তিতে জানা যায়, নিরাপদ গোসাই একজন আধ্যাতিœক গুরু। এই স্থানে আসলে মানুষের বিভিন্ন বিপদ আপদ সহ অনেক কিছুর সমাধান মেলে এমন বিশ্বাসের ভিত্তিতে ধীরে ধীরে এই সেবাশ্রম তীর্থস্থানে রূপ নেয়। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের ১০,১১,১২ তারিখ ৩ দিন ব্যাপী এই মেলায় আগমন ঘটে লাখো মানুষের। ধর্মীয় সংগীত, ভাব কির্তন আর পূন্যার্থীদের পদচারনায় মূখর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা সহ ভারত থেকেও অনেকে মেলায় অংশগ্রহন করেন। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মেলা প্রাঙ্গনে পুরুষ-মহিলা সহ লখো মানুষের সমাগম ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠান পরিদর্শন করে আয়োজক ও ভক্তদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। তিন দিন ব্যাপী এই মহোৎসবের প্রথম দিন ১০ ফাল্গুন ইংরেজী ২২ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার আগমন ঘটে কয়েক হাজার মানুষের, তার পর থেকে ভীড় আরও বেড়ে চলে। দিবারাত্র দর্শনার্থীদের প্রসাদ রান্না করা ও বিতরনের জন্য আছে কয়েকশত স্বেচ্চাসেবক-সেবিকা। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ-আনসার সহ স্বেচ্চাসেবক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। দাকোপ থেকে আগত হরিদাস মন্ডল জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাবার ভক্ত। মেলায় গোপালগজ্ঞ থেকে আগত শিল্পি রানী বিশ্বাস এর সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, আমি ২ বছর আগে রোগমুক্তির জন্য বাবা (নিরাপদ গোসাই) কাছে প্রথম এসেছিলাম। উনি একজন ভালো মানুষ। তার টাকাপয়সার কোন চাহিদা নেই। তিনি শুধুমাত্র হরিনাম বিতরন করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে বাবার অসংখ্য ভক্ত। মূলত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে মনের প্রশান্তি লাভ করতে তিনি মতো প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এসেছেন। রামপাল থানার ওসি লুৎফর রহমান জানান, মেলা উপলক্ষে ৩ দিন প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।