রিজেন্টের চুক্তি নিয়ে মুখোমুখি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর

প্রকাশঃ ২০২০-০৭-১৩ - ১৯:২৭

ঢাকা অফিস : লাইসেন্সবিহীন রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি’র সঙ্গে চুক্তির ইস্যুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি।
রিজেন্ট হাসপাতাল ও জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার-জেকেজি’র সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একে অপরকে দোষারোপ করছে। চুক্তির দায় নিচ্ছে না কেউই।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২১ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে চুক্তি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ সময় সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসেবা সচিবসহ আরো দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব। ১২ই মে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়ার পর ওই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়।

করোনার নমুনা সংগ্রহ করলেও পরীক্ষা হয়নি রিজেন্টের ল্যাবে। মনগড়া প্রায় ৬ হাজার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে ৩ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে ৬ জুলাই অভিযান চালায় র‌্যাব। অনিয়মের ও প্রতারণার প্রমাণ পেয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে চলতে থাকা রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুধু তাই নয়, করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়ে অতিরিক্ত বিল আদায়ের পাশাপাশি সরকারের কাছ থেকেও খরচ নেয়ার ঘটনা বের হয়ে আসে।

সবমিলিয়ে রিজেন্টের সাথে চুক্তি করায় সমালোচনার মুখে পড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ অবস্থায় শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ওই চুক্তি করা হয়।

একই বিজ্ঞপ্তিতে জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার-জেকেজি নামের আরেক প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার বিষয়েও নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে প্রতিষ্ঠানটি।

পরে গতকাল রবিবার, ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার বিষয়টি নিয়ে ডিবিসি নিউজ কথা বলতে চাইলে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি কোনো কথা বলবেন না। পরে তার দপ্তরে মন্ত্রণালয়ের চিঠি নিয়ে সাংবাদিকরা আবারো জানতে চাইলে বলেন, ব্যাখ্যা প্রস্তুত রয়েছে যথা সময়ে পাঠানো হবে।

একই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক এবং বাস্তবায়ন বিভাগের মুখোমুখি অবস্থান খুবই দুঃখজনক বলে মনে করেন করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. নজরুল ইসলাম। তার মতে, দুই তৃতীয়াংশ বেসরকারি হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়ন না করেই কাজ চালিয়ে গেলে তার দায়ও এড়াতে পারে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর।