রিফাত হত্যা: স্ত্রী মিন্নির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-১৭ - ২০:৫৮

ঢাকা অফিস : বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে, বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মিন্নিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড আবেদনের আগে মিন্নিকে বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বরগুনা পুলিশ সুপার।  রিফাত হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও মূল রহস্য উদঘাটন করতে গতকাল সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্নিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যায় মিন্নির সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।

গত ২৬শে জুন জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাতকে স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করে একদল যুবক। হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে, রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা মডেল থানায় মামলা করেন। এরপর, মিন্নিকেও গ্রেপ্তারের দাবি জানান দুলাল শরীফ।

গেল শনিবার রাত ৮টার দিকে, বরগুনা প্রেসক্লাবে রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘রিফাত হত্যাকাণ্ডের সাথে তাঁর পূত্রবধূ মিন্নি জড়িত। সিসিটিভি ফুটেজে পুত্রবধু মিন্নির গতিবিধি সন্দেহজনক বলেও দাবি করে তিনি বলেন, রিফাতকে সন্ত্রাসীরা আক্রমণের প্রথম দিকে মিন্নির তৎপরতা ছিল স্বাভাবিক।’ তবে, পরবর্তীতে সে দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করতে চাইলেও বিষয়টি ছিল পরিকল্পিত। তিনি, মিন্নিকে এ ঘটনার পরিকল্পনায় যুক্ত দাবি করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

পরদিন রবিবার, পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে শ্বশুরের এ বক্তব্যকে বানোয়াট বলে দাবি করে রিফাতের স্ত্রী মিন্নি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিন্নি বলেন, আমার শ্বশুর বর্তমানে অসুস্থ। তিনি তার একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি যা বলেন তার কিছুই তার মনে থাকেনা। আসামিরা বিচারকে অন্যদিকে প্রভাবিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করছে। এমনকি তারা আমার ছবি এডিট করে নয়ন বন্ডের সঙ্গে যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছে।

রিফাত হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ আসামি দায় স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার অন্য তিন আসামি রিমান্ডে রয়েছে। এজাহারভূক্ত পাঁচজনকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।