শরণখোলায় আ’লীগের ওয়ার্ড সম্মেলনে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৯-০৯-২৩ - ১৪:৪৮

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একতরফাভাবে কাউন্সিলর মনোনিত করা, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাকের পার্টির একাধিক নেতাকর্মী এমনকি সরকারি চাকুরিজীবির নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভোটার তালিকায়। তাছাড়া উপজেলা সদরের রায়েন্দা পাঁচনম্বর ওয়ার্ডে ভোটাগ্রহনের তুলনায় ফলাফলে বেশি ঘোষনা করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. আলমগীর ফকির সোমবার সকালে শরণখোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
আলমগীর ফকির লিখিত বক্তব্যে বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক ভীত মজবুত করার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে ওয়ার্ড সম্মেলন শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ সেপ্টেম্বর শরণখোলা উপজেলাসদর রায়েন্দা পাঁচনম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৮০জন ভোটারের মধ্যে ২৬৪ জন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট প্রয়োগ করেন। কিন্তু গণনা শেষে দেখা যায় প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২৭৩টি। ভোট গ্রহনের দিন কাউন্সিলর মো. ধলু মোল্লা (ভোটার নং-৪১), সালাম হাওলাদার (ভোটার নং-৪৬), জাকির মোল্লা (১৭০), নান্না শাহ্ (২৪৬), মজিবর মীর (১২২), চঞ্চল ভৌমিক (১২৪), বাসু কর্মকার (১৩০), নজু মীর (১৪৮), রায়হান উদ্দিন শান্ত (১৫৫), সুখরঞ্জন সিকদার (২১৬) এলাকায় ছিলেন না। অথচ তাদেরকেও উপস্থিত এবং ভোটগ্রহন দেখানো হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমি দীর্ঘদিন উপজেলা সদরের রায়েন্দা পাঁচনম্বর ওয়ার্ড আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। এলাকায় কে কোন দল করে তা ভালো করেই জানা আছে। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ করেন তাদের অন্তর্ভুক্তর করে একটি তালিকা তৈরী করা হয়। কিন্তু সেই তালিকা বাদ দিয়ে বিভিন্ন দল থেকে আসা লোকদের নিয়ে কাউন্সিলর মনোনিত করে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা করেন নেতারা। একইভাবে উপজেলার ৩৬টি ওয়ার্ডেই অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। যা দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই দলের ত্যাগীদের নিয়ে পুনরায় তালিকা তৈরী ও নিয়মতান্ত্রিক সম্মেলনের দাবি জানাই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম কালাম ও রায়েন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ রুমির কাছে জানতে চাইলে বলেন, ভোটার তালিকা তৈরী বা ভোটগ্রহনে কোনো অনিয়ম হয়নি। তাছাড়া, অভিযোগকারী সভাপতি প্রার্থী আলমগীর ফকির নিজেই এজেন্ট হিসেবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। হেরে গিয়ে তিনি এখন অপপ্রাচারে নেমেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন, স্বেচ্ছ্বাসেবকলীগের আহবায়ক রোকনুজ্জামান বিপ্লব, লাকুড়তলা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সবাপতি মো. বাদশা হাওলাদারসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।