তারেক জিয়ার সহযোগী “শাহ আলমের” ইশারায় চলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে!

প্রকাশঃ ২০২০-০৯-০১ - ২৩:৪৩

বিপ্লব দে, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ রেলের টেন্ডার- ইজারা-নিয়োগ-সরবরাহ সবকিছুই চলে হাওয়া ভবনের সিন্ডিকেট প্রধান ও তারেক জিয়ার প্রধান অর্থ যোগানদাতা “শাহ আলমের” ইশারায়।

রেল সূত্রে জানা যায় বাংলাদেশ রেলে কর্মরত বিএনপি-জামাত অনুসারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শাহ আলম টাকার বিনিময়ে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা।  ইতিমধ্যে চাকুরী দিতে না পারায় শাহ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক ভুক্তভোগী চেক প্রতারণার মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।

চাকুরী না পাওয়া একাধিক ব্যক্তি প্রতিবেদককে জানান আমরা শাহ আলমের নিকট হতে টাকার বদলে চেক পেয়েছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাদের চেকের টাকা পরিশোধ করেনি।

শাহ আলমের হাতে চাকুরীর জন্য টাকা দিয়ে প্রতারিত হওয়া ব্যাক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে জানান সরকার দলীয় কিছু সুবিধাভোগী ও  গোপন আতাতকারী নেতা-কর্মীদের ম্যানেজ করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন শাহ আলম। বিগত জামায়াত-বিএনপির জোট সরকার আমলের সক্রিয় ক্যাডাররা বর্তমানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নাম ব্যবহার করে শাহ আলমের নেতৃত্বে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। শাহ আলমের নিকট হইতে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তার অনুসারী মুখোশধারী নেতাকর্মীরা মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

জানা যায় শাহ আলমের নেতৃত্বে রয়েছে একাধিক  কিশোর গ্যাং এই কিশোর গ্যাং সদস্যদের ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে শাহ আলম চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক পাচার, চোরাচালান ও পতিতা বাণিজ্য। এই অবৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে তিনি আয় করছেন দৈনিক কোটি টাকা। শাহ আলমের অবৈধ বাণিজ্যের একটি অংশ চলে যাচ্ছেন লন্ডনে পলাতক একুশে আগস্ট গেনেট হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক জিয়ার হাতে।

জানা যায় এফএএন্ডসিএও (পূর্ব ) এর নথি নং-ইএম/২০১/ওভার টাইম (লুজ -২ ), তাং- ০৯.০৭.২০২০ খ্রি. এ প্রদত্ত আর্থিক সম্মতি ও নথি নং-৫৪,০১,১৫০০,১১০,০৫,১০৮,২০, পিপি ০২ এ মহাব্যবস্থাপক(পূর্ব)মহোদয়ের মঞ্জুরীক্রমে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্ব ) মহোদয়ের ১২-০৭-২০২০ খ্রি: এর মঞ্জুরীপত্র অনুসারে এএমই/আইসি/সিএন্ডডব্লিউ/চট্টগ্রাম এর অধীনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডিপোতে ৫০কে টিএলআর “কাজ নাই মজুরী নাই” ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করেন।

টিপু সেন নামে এক ব্যক্তি প্রতিবেদককে জানান শাহ আলম শতাধিক লোককে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৫০ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করলেও আমাকে নিয়োগ প্রদান করে করেনি, আমি টাকা ফেরত চাইলে তিনি তাঁহার কিশোর গ্যাং লিডারদের মাধ্যমে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। তিনি আরো জানান অস্থায়ী ভিত্তিতে যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তাদেরকে পরবর্তীতে স্থায়ী করা হবে বলে প্রতি জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে নিয়েছে।

অনিয়মের মাধ্যমে ৫০ জনকে নিয়োগের বিষয়ে জানতে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্ব) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মকর্তা মহিউদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করে নাই।