সাঁথিয়ায় ঈদগাহ মাঠের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষের আশংকা

প্রকাশঃ ২০২০-০৭-১৫ - ১৮:৪৪

ফারুক হোসেন,পাবনা : পাবনার সাঁথিয়ায় কাশিনাথপুর ইউনিয়নের হুঁইখালী মানপুর ঈদগাহ মাঠের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেয়াকে কেন্দ্র করে হট্রোগোল বিক্ষোভ। সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে ওই কমিটির সদস্য শামসুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা যায়,গত ৩১মে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের স্মারক নং ০৫.৪৩.৭৬২০.৩০.২৭.০১৭.২০.৭৪ কাশিনাথপুর ইউনিয়নের হুইখালী মানপুর ঈদগাহ মাঠের আমিরুল ইসলাম সানুকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য কমিটি করা হয়। আহবায়ক কমিটি গত ৯ জুলাই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য সভাপতি ১জন,সহসভাপতি ৩জন,সাধারণ সম্পাদক ২জন ও কোষাধ্যক্ষ ১জন বিপরীতে আবেদনকারীদের ডাকা হয়। আবেদনকারীদের মধ্যে শুধুমাত্র সাধারন সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থী আব্দুল মতিন ফকির ও মিরাজুল ইসলাম সাদ্দাম অংশগ্রহণ করায় উপস্থিত সমর্থকদের মধ্যে হাত উত্তোলণের মাধ্যমে নির্বাচিত করার আহবান করা হলে মিরাজুলের পক্ষে বেশী সমর্থক হওয়ায় তাকে নির্বাচিত করা হয়। এ দিকে আহবায়কের আপন চাচা আব্দুল মতিন ফকির সমর্থন কম থাকায় সে হেরে গেলে আহবায়ক আমিরুল ইসলাম সানু কমিটি গঠন স্থগিত করে সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এতে এলাকাবাসী ওই সময়ই আহবায়কের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ করে। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকায়। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।
আহবায়ক কমিটির সদস্য শামসুর রহমান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ঈদগাহ মাঠের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা না হলে যে কোন সময় এলাকায় ঝামেলা হতে পারে। এ জন্য আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে আহবায়ক আমিরুল ইসলাম শানু জানান, সভায় হট্রগোল বেধে যাওয়ায় আমি নির্বাচন করতে পারি নাই। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছি। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে তাকেই নির্বাচন করা হবে। এর ব্যত্যয় ঘটবে না।