সুন্দরবনে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৪ ট্রলারসহ জন আটক ১৯৬

প্রকাশঃ ২০১৯-১১-১৩ - ১৯:৪৭

সবুজ হাওরাদার, মোংলা : মোংলায় চলতি মাসের ৫ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর বুধবার পর্যন্ত ৯ দিনের ব্যবধানে সুন্দরবনে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৪টি ট্রলারসহ মোট ১৯৬ জনকে আটক করেছে বনবিভাগ। আটককৃতদের সবাইকে সরকারী বিদান অনুযায়ী সিওআর মামলার মাধ্যমে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ সুন্দরবনে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বুধবার ভোরে বনের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ৪টি ট্রলারসহ ৫৫ দর্শনার্থীকে আটক করেছে বন রক্ষীরা। এর আগেরদিন মঙ্গলবার সকালে বনের ভদ্রা এলাকা থেকে ১টি ট্রলারসহ ১৯ জন ও চরাপুটিয়া এলাকা থেকে ১টি ট্রলারসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া সোমবার বিকেলে বনের ধানসিদ্ধির চর এলাকা থেকে ৪টি ট্রলারসহ ৪৯ জনকে আটক করা হয়ে। অপরদিকে গত ৫ নভেম্বর সুন্দরবনের জয়মনির নন্দবালা খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রথম দফায় ৩টি ট্রলারসহ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের ৬০ জনকে আটক করেছিল বনবিভাগ। অপরদিকে বন বিভাগের অনুমতি ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণের অভিযোগে দুই জেলেকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পূর্ব সুন্দরবনের দুবলা টহল ফাঁড়ির নীল বাড়িয়া খাল থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২৫ কেজি কাঁকড়াও জব্দ করা হয়। আটককৃত জেলেরা হলেন, মোংলা উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপাই গ্রামের মৃত রশিদ শেখের ছেলে হোসেন শেখ ও মজিদ মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লা। বন আইনে মামলা দায়েরের তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান জানান, দুবলার চরের রাস মেলা উপলক্ষে আটককৃতরা কয়েকদিন আগে মাছ ধরার জেলের ছদ্মবেশে ট্রলার যোগে বনবিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সুন্দরবনের দুবলার চরে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে অধিকাংশ অনুপ্রবেশকারীকে বন রক্ষীরা পৃথক অভিযান চালিয়ে আটক করে। তবে প্রথম দফায় ৩ টি ট্রলারসহ আটক ৬০ জন সুন্দরবনে অনুপ্রবেশের আগেই হরিণ ধরার ফাঁদ, দেশীয় অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ বন রক্ষীদের হাতে আটক হয়।