সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে ৬টি ট্রলারসহ আটক ১৪১

প্রকাশঃ ২০১৯-১১-১২ - ১৮:৫০

মোংলা, বাগেরহাট : মোংলায় মাছ ধরার জেলের ছদ্মবেশে সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৬টি ট্রলারসহ ১৪১ জন পর্যটককে আটক করেছে বনবিভাগ। সোমবার বিকেলে বনের ধানসিদ্ধির চর, সোমবার রাতে পশুর নদীর চরাপুটিয়া ও মঙ্গলবার সকালে হারবাড়িয়ার নিচে ভদ্রা এলাকা থেকে এদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদেরকে পুর্ব চাঁদপাই রেঞ্জ কার্যালয়ে আনার পর তাদের বিরুদ্ধে সিওআর মামলায় জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ছদ্মবেশী আটককৃত এসকল জেলেদের সবার বাড়ি মোংলার বুড়িরডাঙ্গা, চিলার জয়মনী ও বানিয়া শান্তার বিভিন্ন এলাকায়। এর আগে একই অপরাধে গত ৫ অক্টোবর সুন্দরবনের জয়মনির নন্দবালা এলাকা থেকে ৩টি ট্রলারসহ ৬০ জেলেকে আটক করে বনরক্ষীরা। এদের বাড়ী বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের বিভিন্ এলাকায়। তাদেরকেও একই আইনে (সিওআর) জনপ্রতি নগদ ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয় বনবিভাগ। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান জানান, দুবলার চরের রাস মেলা উপলক্ষে আটককৃতরা কয়েকদিন আগে মাছ ধরার জেলের ছদ্মবেশে ট্রলার যোগে বন রক্ষিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সুন্দরবনের দুবলার চরে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে সোমবার বিকেলে বনের ধানসিদ্ধির চর এলাকা থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জব্দ করা হয়েছে তাদের ব্যবহৃত ৪টি ট্রলারও। একই অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে চরাপুটিয়া খাল সংলগ্ন থেকে দাকোপের বানিয়া মান্তা এলাকার ১টি ট্রলারসহ ১৩জন ও সকালে বনের ভদ্রা খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে ১টি ট্রলারসহ বনে অনুপ্রবেশের অভিযোগে চিরা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য নজনুল ইসলামসহ আরো ১৯ জনকে আটক করা হয়। এ সকল ব্যক্তিদের বাড়ী মোংলার বুড়িরডাঙ্গা ও চিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহিন কবির বলেন, প্রথমে আটক হওয়া প্রথমে ১৩জন ও পরে আটক ৪৯ জন কোন পাস না নিয়ে অবৈধভাবে সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ করে। এ ছাড়া দ্বিতীয় দফায় আটককৃতদের মাছ ধরার পাস থাকলেও দুবলায় রাস মেলায় যাবার বৈধ কোন অনুমতি ছিল না। আটক সবাইকে সিওআর মামলার আওতায় নগদ ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়।