হঠাৎ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ‘অপরিকল্পিত’ ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে দায়ী

প্রকাশঃ ২০১৭-০৭-১২ - ১৪:৩২

আহমেদ ফরিদ, রাবি প্রতিনিধিঃ কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস জুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো তলিয়ে গেছে। এতে বিশ্ববিদ্যায়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ক্যাম্পাসে ‘অপরিকল্পিত’ ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিনোদপুর গেটের রাস্তা, রাবি বাস স্ট্যান্ড, টুকিটাকি চত্ত্বর, পরিবহণ মার্কেটের সামনে, শহীদুলহ কলা ভবনের সামনে, স্টেশন বাজার, হবিবুর রহমান হলের সামনে, শের-ই-বাংলা হলের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা, তুঁতবাগান সংলগ্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মমিনুর মমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। একটু বৃষ্টিতেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আজ বিনোদপুর গেট দিয়ে ক্লাসে যাচ্ছিলাম। জলাবদ্ধতার কারনে ক্যাম্পাসে চলাচল করতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’

আরেক শিক্ষার্থী অন্তর রায় প্রণব বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সমস্যার কারনে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে আমরা ভালোভাবে চলাচল করতে পারছিনা। অনেক আগে থেকেই এ সমস্যা বিরাজ করছে। কিন্তু দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেনা প্রশাসন। ফলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হচ্ছেনা।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্র্থী বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে রাবি ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাবি ক্যাম্পাসে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে সাধারণ বৃষ্টিপাতে চলাচলে তা কোনো ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। কিন্তু সকাল থেকেই মুশুলধারে বৃষ্টি হওয়ায় রাজশাহী শহরসহ আমাদের ক্যাম্পাসে সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে মাস্টার প্ল্যান রয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে ভারী বৃষ্টিতেও তখন আর কোনো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।’ আগামী ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই এ জলাবদ্ধতা দূর হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।