হত্যা মামলার আসামিদের বাদ দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ২০১৮-০৩-০৫ - ২১:১৩

যশোর: মোটা অংকের টাকা নিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের বাদ দিয়েছে কেশবপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা। স্বামীর প্রকৃত খুনিদের বিচারের দাবিতে সোমবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রেহেনা এ অভিযোগ করেন। তিনি কেশবপুর উপজেলার ব্রক্ষ্মণকাটি গ্রামের মৃত কামরুজ্জামানের স্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে রেহেনা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তার নবম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে শারমিন আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহত কামরুজ্জামানের চাচা আব্দুস সালাম, প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে রেহেনা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার মেয়ে শারমিন আক্তারকে বিভিন্ন সময় একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আল আমীন বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মেয়ে নাবালিকা থাকায় আমরা এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিই। এছাড়া তাদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। এজন্য গত বছর ৫ আগস্ট আল আমীন, আলম রাজমিন্ত্রী, আছির উদ্দিন দফাদার, জাহাঙ্গীর হোসেন ও খাদিজা বেগমসহ আরো কয়েকজন আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এজন্য আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরে রড দিয়ে আমার পায়ে আঘাত করে। এজন্য আমার স্বামী বাড়িতে আসলে তারা আমার স্বামীকে বেদম প্রহর করে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়। তখন তাকে প্রথমে কেশবপুর হাসপাতালে ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার একদিন পর তিনি মারা যান।

এ ঘটনার ৭ আগস্ট আমি কেশবপুর থানায় একটি মামলা করি। কিন্তু মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আকরামের মতো দ্বিতীয় কর্মকর্তা কেশবপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাজাহানও আসামীদের গ্রেফতার করেননি। পরে তিনি শুধুমাত্র আল আমীন ও খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। আর এজারহারভুক্ত আসামী আলম রাজমিন্ত্রী, আছির উদ্দিন দফাদার ও জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তাদের চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছেন।

এব্যাপারে আমি থানায় গেলেও কোন সদুত্তর পাইনি। পরে আমি জেলা পুলিশ সুপার ও ডিআইজির কাছে লিখিত আবেদনও করেছি। কিন্তু সেখান থেকেও আমার স্বামী আমার অনাগত সন্তানের পিতার প্রকৃত খুনিদের বিচারের কোন সাড়া পাইনি।’

এব্যাপারে অভিযুক্ত কেশবপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাজাহান বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়। তদন্ত করে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আর যারা জড়িত নয় তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।’